বড়লেখা প্রতিনিধি ::  মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ৫ মাসের ‘অন্তঃসত্ত্বা’ এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই যুবতীর নাম কাকলী রাণী দাস (১৯)। সে বড়লেখা উপজেলার চন্ডিনগর গ্রামের রমেশ চন্দ্র দাস ও মিনতী রানী দাসের মেয়ে। শনিবার (২৭ আগষ্ট) রাতের কোন এক সময় উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের চন্ডিনগর গ্রামে নিজ ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই যুবতী। খবর পেয়ে বড়লেখা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে । এসময় একটি সুইসাইড নোট ও একটি ডাইরি জব্দ করা হয়।

বড়লেখা থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সায়াদ আলীর ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে কাকলী রাণী দাসের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।এর মধ্যে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে কাকলী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য আবুলকে চাপ দেয়। কিন্তু আবুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকলী তার অনাগত সন্তানের পিতৃত্বের দাবী নিয়ে আবুলের বাড়িতে ছুটে যায়। এসময় আবুলের মা-বাবা ও বোন মিলে কাকলীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। অপমান আর ক্ষোভে এদিন (শনিবার) রাতের দিকে নিজ ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা রমেশ চন্দ্র দাস অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে আবুল হোসেন। এতে কাকলী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। অনাগত সন্তানের পিতৃত্বের দাবী নিয়ে গেলে আবুলের পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। অপমান আর ক্ষোভে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তদন্তের স্বার্থে সুইসাইড নোটসহ একটি ডায়েরি জব্দ করা হয়েছে এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারেরে পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Sharing is caring!