জাফলংয়ের পরিবেশ রক্ষায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০১৭

সিলেটের জাফলংয়ের পরিবেশ রক্ষা ও বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে পর্যটন উন্নয়ন ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ কমিটি এবং জাফলং পর্যটন উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সিলেট জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম‘র কাছে স্মরকলিপি প্রদান কনে। স্থানীয় এমপির আশির্বাদে চালক থেকে রাতারাতি আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী নেতৃত্বে জাফলং থেকে শত শত নারী-পুরুষ শ্রমিক‘ নিয়ে মানবন্ধন ও স্মরকলিপি প্রদান কের তিনি।

কিন্তুক এলাকার সূত্র জানান যায় যে,জাফলং এলাকায় বোমা মিশিন‘র নির্যন্তন করেন লিয়াকত আলী। তবে আজ নিজের অপরাধ ডাকতে নিজেই বোমা মিশিনের বিরুদ্ধে জাফলং বোমা মিশিন বন্ধ ও পরিবেশ রক্ষার দাবীতে সিলেট জেলা প্রশাসক‘র মাধ্যামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবারে স্মরকলিপি প্রদান করা করেন। যারা বোমা মিশিন পরিবেশ ধ্বংস করছে তারা আজ পরিবেশ রক্ষার দাবীতে মাববন্ধন পালন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পর্যটন উন্নয়ন ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ফয়েজ আহমদ বাবর, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, সেভ দ্যা হেরিটেজ এন্ড এনভায়রণমেন্টের প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হাই আল হাদী, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী প্রমুখ।

 

এদিকে সচেতন এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই পরিবেশ-প্রকৃতি ধ্বংসে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিক। সবাই একাট্টা হয়ে সাবাড় করছে জাফলং। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্পর্ক সাপে-নেইলে হলেও পাথর কান্ডে গলায় গলায় ভাব তাদের।

অপরূপ জাফলং- কথাটি এখন অতীত। অনিয়মতান্ত্রিক ও অবৈধপন্থায় পাথর উত্তোলনের ফলে প্রকৃতির নিজস্বতা হারিয়েছে জাফলং। পাথরখেকোদের লালসায় পিয়াইন নদী হারিয়েছে গতিপথ। খোয়া গেছে নদীর তীর, রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ। বাড়িঘর বিলীন করেও থেমে নেই ধ্বংসযজ্ঞ।

এবার পাথর খেকোদের রাক্ষসী থাবায় হারাতে বসেছে কান্দুবস্তি, নয়াবস্তি, জুমপাড় তথা খাসিয়াদের সংগ্রামপুঞ্জির সবুজায়নটুকুও। এখন কেবল এটুকুই ধ্বংসের বাকি। সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমন ধ্বংসলীলা চালাতে এখন নামানো হয়েছে হাজার খানেক বোমা মেশিন। এসব মেশিন যেনো খাবলে খাচ্ছে জাফলংয়ের অবশিষ্ট বসতি এলাকা।

স্থানীয়রা বলেন, জোর যার, মুল্লুক তার। ওখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি একাট্টা। আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতারা মিলেমিশে শাসন করেন জাফলং। তারাই প্রশাসন সামলান। উপরের রাজনৈতিক নেতাদের দৈনিক ও সাপ্তাহিক হারে টাকা দিয়ে চালান বোমা মেশিন। এই টাকার ভাগ কোথায় না যায়? এমন উল্টো প্রশ্ন স্থানীয় এক বাসিন্দার।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বোমা মেশিন দিনে বন্ধ থাকে, সচল হয় রাতে। মেশিনের শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘরবাড়ি থরথর করে কাঁপতে থাকলেও কাঁপে না প্রশাসন। দানবের অবিরত শব্দে বিঘ্নিত শিশু কিশোরদের পড়ালেখার পরিবেশ। স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো আছেই।

খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেলো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। বোমা মেশিন থেকে শুরু করে সব কিছুর শেল্টারদাতা স্থানীয় এমপির আশির্বাদে চালক থেকে রাতারাতি কোটিপতি জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..