ওই তরুণী ভোপালে থাকেন। প্রতি দিনের মতোই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার জন্য হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন। স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই তাঁর পথ আটকায় গোলু বিহারী নামে এক দুষ্কৃতী। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তরুণী গোলুকে লাথি মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। গোলু তার এক আত্মীয় অমর ঘণ্টুকে ডাকেন। এর পর দু’জনে মিলে তরুণীকে একটি পরিত্যাক্ত কালভার্টের কাছে নিয়ে যায়। তরুণী প্রতিরোধের আপ্রাণ চেষ্টা করেন, সাহায্যের জন্য চিত্কার করতে থাকেন। মুখ বন্ধ করিয়ে দিতে পাথর দিয়ে ওই তরুণীর মাথায় আঘাত করে গোলু ও তার সঙ্গী। তার পর তরুণীর হাত-পা বেঁধে চলে গণধর্ষণ।
তরুণীর অভিযোগ, এখানেই থামেনি দুষ্কৃতীরা। ঘণ্টুকে পাহারায় রেখে সিগারেট কিনতে যায় গোলু। ফিরে এলে তার কাছে পরার জন্য পোশাক চান তরুণী। কাছেরই বস্তিতে গোলুর বাড়ি। সেখান থেকে তরুণীর জন্য পোশাকও নিয়ে আসে সে। ইতিমধ্যেই গোলুদের সঙ্গে আরও দু’জন যোগ দেয়। এর পর চার জন মিলে রাত ১০টা পর্যন্ত তরুণীকে ধর্ষণ করে। তার পর সেখানে তাঁকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় তরুণীর ফোন, ঘড়ি এবং গয়নাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
এর পর ওই তরুণী হাবিবগঞ্জ রেলপুলিশ চৌকিতে কোনও রকমে পৌঁছন। মা-বাবাকে সেখানে ফোন করে ডাকেন। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি তরুণীর পরিবারের। তাঁদের অন্য থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ‘মিথ্যা ভাবে সাজানো ঘটনা’র তকমা লাগিয়ে পুলিশ পাল্টা তাঁদের মেয়েকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছে।
হাবিবগঞ্জ থানা থেকে ফেরার পথে গোলু ও ঘণ্টুকে ঘটনার ৫০০ মিটারের মধ্যেই দেখতে পান তরুণী। তাদের চিনতেও পারেন। তরুণীর পরিবার তাড়া করে ওই দু’জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।