সিলেটে কালোবাজারিদের হাত দিয়ে গেলো বিপিএলের টিকেট, বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল

প্রকাশিত: ১:১৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৭

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : আজ থেকে শুরু হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বিপিএল। এই প্রথমবারের মতো সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো বিপিএলের ৮টি ম্যাচ। যার জন্য সিলেটের ক্রিকেট প্রেমীদের যেনো কোনো অন্তঃ নেই। ঘরের মাঠে বসে প্রিয় ক্রিকেটারদের খেলা কার না ইচ্ছা জাগে। এ এক অন্যরকম অনুভূতি।
কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের বিপত্তি বাধে টিকেট পেতে। ৩১অক্টোবর থেকে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে নামমাত্র টিকেট বিক্রি শুরু হলেও টিকেটের সিংহভাগ অংশই ছিলো কালোবাজারিদের হাতে। এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। রাত ১২টা থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকেরই পরেরদিন কপালে জুটেনি টিকেট নামক সোনার হরিণের।
জানাযায়, সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের খেলার টিকিট বিক্রি নিয়ে ১ নভেম্বর মিডিয়ার তোপের মুখে পড়ে কালোবাজারিরা। এরই জেরে কোন নোটিশ ছাড়া সাংবাদিকেদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বৃহস্পতিবার সারাদিন।
অপর দিকে চারটি বুথ ছাড়াও বিশেষ বুথে ছাত্রলীগ নেতাকরর্মীদের নিজ হাতে টিকিট বিক্রি করেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য বিজিত চৌধুরী।
সরজমিনে দেখা যায়, নির্ধারিত চারটি বুথ ছাড়াও জেলা ক্রীড়া ভবনের বাম দিকের জানালায় বিশেষ ব্যবস্থায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে নিজ হাতেই টিকিট বিক্রি করেন বিজিত চৌধুরী। সেখানে দাড়ানো টিকিট প্রত্যাশীরা জানান তারা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের কর্মী।
তাছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই আঙ্গুল তুলছেন এখন বিসিবি পরিচালক ও আওয়ামীলীগ নেতা শফিউল আলম নাদেলের উপর। তারা বলছেন, যারা এই টিকেট পকেটে রেখে ২০০টাকার টিকেট ১০০০/১৫০০ টাকা বিক্রি করেছেন সবাই নাদেলের কাছের মানুষ। তিনি সরাসরি এসবে জড়িত বলেও অভিযোগ করছেন অনেকে।
এদিকে বিপিএল অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার জের ধরে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা থেকে ৩নভেম্বর শুক্রবার বিপিএলকে বর্জনের ঘোষণা আসে।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী তার বক্তব্যে বিপিএলকে বর্জনের ঘোষণা দেন।
তার বক্তব্য ও বর্জনের ঘোষণার সমর্থন জানান জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ-জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অনেকটা আক্ষেপের সূরেই জানান, নগরীতে এতো বড় আয়োজন কিন্তু আমাকে দাওয়াত করা হয় নি। এরকম অবমূল্যায়ন আসলেই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিল ও প্যানেল মেয়র(১) রেজাউল হাসান কয়েস লোদীও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার ওয়ার্ডের পাশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে বিপিএলের সিলেটের আসর। কিন্তু আমাকে দাওয়াতটা দেয়নি আয়োজকরা।
সার্বিক বিষয় নিয়ে বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম নাদেলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
সূত্র-এমটিনিউজ২৪.কম

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..