সিলেটে ভূয়া চিকিৎসকদের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৭

সুনির্মল সেন :: বিভাগে হাতুড়ে চিকিৎসকদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। জেলাগুলোতে নজরদারীর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাকা সত্বেও রহস্য জনক কারনে রয়েছেন একেবারে নিরব। বিভাগের অন্তর্গত জেলাগুলোর উপজেলায় সর্বত্র এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, হারবাল ও দন্ত রোগের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ সাইনবোর্ড লাগিয়ে অসংখ্য হাতুড়ে চিকিৎসকদের চেম্বার গড়ে উঠেছে। সরকারী প্রশিক্ষনের সনদ বিহীন অসংখ্য ভূয়া চিকিৎসক দীর্ঘদিন যাবত এভাবে সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সহজ-সরল রোগীদেরকে প্রতারিত করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে এতে নিরব। জেলাগুলোসহ উপজেলার ছোট-বড়, মাঝারি সব কষ্ফটি বাজারেই এসব ভূয়া চিকিৎসকদের তৎপরতা রয়েছে।

একাধিক সূত্রে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট বিভাগের প্রতিটি গ্রাম, বাজার, উপজেলা সদরসহ প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে সাইনবোর্ডধারী ডাক্তারদের চেম্বার গড়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন। আনাচে-কানাচে গড়ে উঠা এসব ভূয়া চিকিৎসকদের অধিকাংশই হাতুড়ে চিকিৎসা কেন্দ্র। হাতুড়ে চিকিৎসকদের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে কবিরাজদের দৌরাত্মও এতো বেড়ে চলেছে। এর ফলে হাজার হাজার সহজ-সরল সাধারণ মানুষ চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন।

সূত্র মতে, এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণ করে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়িত মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ছে। কেউ কেউ ঔষধ বিষয়ক দু’চারটি কোর্স সম্পন্ন করে এবং কেউ কেউ এল.এম.এফ সম্পন্ন করে এক সাথে চেম্বার ও ফার্মেসি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজেরা কোনো ডিগ্রীধারী না হলেও সাইনবোর্ডে বিভিন্ন ভূয়া পদবী বিশেষজ্ঞ লিখে মানুষকে আকৃষ্ট করে নিরীহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেকেরই প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই এক রকম প্রকাশ্যেই এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ভূয়া ডাক্তাররা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক চিকিৎসক বলেন, সিলেট বিভাগের আনাচে-কানাচে যে হারে চিকিৎসকদের চেম্বার গড়ে উঠেছে তাদের অনেকেরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি কিংবা ডাক্তারি পাশ করা কোনো সনদ নেই। এসব চেম্বারে সকল রোগের চেকআপ করার নামে চলছে রোগীদের সাথে প্রতারণা।

তিনি আরো বলেন, গ্রামগঞ্জের কবিরাজদেরও দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। এলোপ্যাথিক চিকিৎসা ও ঔষধ বিক্রি করছেন ডিগ্রী গ্রহণ না করেই অনেকেই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করেছেন ভুক্তভোগিরা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..