সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৭
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ছেলের তদারকিতে থাকা নির্মাণকাজে ভুল হওয়ায় মালিকের অপমান সইতে না পেরে এক ঠিকাদার বাবা শনিবার বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের নাম আবদুল মালেক (৪৮) ওরফে মালেক মিস্ত্রি। তিনি উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের ননাই গ্রামের মৃত মঈন উল্লাহ্ ছেলে।
মৃতের ছেলে আজমান শনিবার বিকেলে যুগান্তরকে জানান, উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের মৃত কাদির মিয়ার ছেলে বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের বাদাঘাটে একটি তৃতীয় তলাবিশিষ্ট বাসা কাম গুদাম নির্মাণের ঠিকাদারির কাজ নেন তার বাবা আবদুল মালেক।
ড্রয়িং অনুযায়ী ভবনের বেইজ ঢালাই সঠিক না হওয়ায় শনিবার কাজ দেখতে গিয়ে ঠিকাদারকে সহকর্মীদের সামনেই কিছুটা রাগত হয়ে অশালীন আচরণ করেন আনোয়ার।
ভুল কাজের জন্য নির্মাণ কাজের তদারকিকে থাকা আবদুল মালেক তার ছেলে আজমানের সঙ্গে রাগত হয়ে তর্কাতর্কি করেন।
আনোয়ার ও তার সঙ্গে থাকা অপর ব্যবসায়ী নুর মিয়া আবদুল মালেককে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আসার কথা বলে চলে আসার পর পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে তিনি সকাল ১০টার দিকে বিষপান করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ি থেকে বাদাঘাট বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে আসা হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরে পৌঁছার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
উল্লেখ্য, সবার কাছে পরিচিত মালেক মিস্ত্রি প্রায় ২০ বছর আগে সিলেটের মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কুশালীপুর গ্রাম থেকে তাহিরপুরের বাদাঘাটে এসে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
ব্যবসায়ী আনোয়ার যুগান্তরকে বলেন, ড্রয়িং অনুযায়ী পিলারের কাজ সঠিক পরিমাপে না হওয়ায় আমি ঠিকাদার মালেককে নিজে অনুপস্থিত থেকে ছেলেকে দিয়ে ভুল কাজ করানোর কথা বললে তিনি ছেলের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও রাগ করে বাড়ি চলে যান, এরপর শুনেছি পারিবারিক কোন্দলের কারণে তিনি বাড়িতে গিয়ে বিষপান করেছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে বিষপানে আবদুল মালেকের মৃত্যুর বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে আবদুল মালেককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে, আসলে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মো. মনির হোসেন শনিবার বিকেলে জানান, লাশ থানা হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd