আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এখন ফুটপাত দখল করেছেন কারা?

প্রকাশিত: ২:৫২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৭

আদালতের নির্দেশে ক’মাস আগে সিলেট নগরীর ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় এবং দখলদারীদে নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা তারা বর্তমানে আত্ম গোপনে তিন্তু বর্তমান হকার কাদের নিয়ন্ত্রনে। এখন দেখা যায় বেপরোয়া হকাররা এবার শুধু ফুটপাত দখল করেনি, কোনো কোনো সড়কের অর্ধেক, এমনকি কীন ব্রিজেও চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। মেয়র বলছেন, এটি প্রত্যক্ষভাবে আদালত অবমাননা। হকাররা বলছেন, ফুটপাত ও রাস্তায় ব্যবসা করার বিনিময়ে পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের প্রতিদিন টাকা দিচ্ছেন তারা। আদালতের নির্দেশে গত রোজায় সিলেট নগরীর ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। বেপরোয়া হকাররা এবার সেই আদালতের সামনের সড়ক ও ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শুধু আদালত নয়, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পরিষদ ও গোটা জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনের ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন হকাররা। পুলিশ&nbsp; প্রতিদিন টাকা দিয়েই ব্যবসা করছেন বলে উল্লেখ করে হকাররা বলেন, মার্কেটে যাওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের। তাই চাঁদা দিয়েই এখানে ব্যবসা করছি। পুলিশকে আগে দুই টাকা করে দিতাম। এখন তাদের ১০টাকা করে দিতে হয়। হকারদের মতো অরাজকতা চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। সামনের ফুটপাত দখল করে দোকানের সাথে সংযুক্ত করেছেন তারা। এতে পথচারীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। পথচারীরা বলেন, সন্ধ্যার পর দেখা যায় এখানে প্রচুর ভ্যান। তারা নিজেদের মতো রাস্তা দখল করে ব্যবসা করে। এতে আমাদের চলাচলে সমস্যার তৈরি হচ্ছে।<br>
<br>
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রভাবশালীদের সহায়তায় হকাররা আবারও ফুটপাত দখল করে নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন সচেতন মহল, কোনো সোর্স ছাড়া হকাররা এখানে বসার সাহস পায়নি। কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের লোক সমাগম বাড়ানোর জন্যই তাদের এখানে বসিয়েছে। কীন ব্রিজের লোড কমাতে রিক্সা ছাড়া অন্য যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের নীরবতায় ব্রিজের ওপরও স্থায়ীভাবে ব্যবসা চালাচ্ছেন হকাররা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..