জনগণকে মূল্যায়ন না করলে কোন ওসির দরকার নেই: আইজিপি

প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৭

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশের কোন সদস্য যদি সন্ত্রাস বা মাদকের সাথে জড়িয়ে পরে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে অভিযোগ দিন। জনগণকে মূল্যায়ন না করলে কোন ওসির থানায় থাকার দরকার নেই। তাদেরকে পুলিশ লাইনে রেখে দেয়া হবে। পৃথিবীর সব দেশে জঙ্গিদের সরাসরি ‘ক্রসফায়ার’ করা হয়। তবে বাংলেদেশে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা গ্রেফতার হতে চায় না। ওদের কাছে বোমা, ধারালো অস্ত্র ও গ্রেনেট থাকে। তাই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। পুলিশের মনোবলকে দুর্বল করার জন্যই তারা পুলিশের সংঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে জড়াচ্ছে, মারা পড়ছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠি এটা সহ্য করতে পারছেনা। তারা জঙ্গি দমনে এমন কার্যক্রমের সমালোচনা করছেন।

শুক্রবার বিকেলে ঝালকাঠি পুলিশ লাইন মাঠে কমিউনি পুলিশিং ও জঙ্গি-সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। আজকে সারা দুনিয়ার কাছে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ গর্ব ষোল কোটি মানুষের। তবে অজ্ঞতা ও ধর্মান্ধকারের কারণে জঙ্গিবাদ ও মাদক মাথা চাড়া দিয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তা দূর করতে হবে।

আইজিপি বলেন, কোন ব্যক্তি যাতে অপরাধমূলক কাজে জড়াতে না পারে সে জন্য সচেতেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সাধারন মানুষকে নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং। যাতে সন্ত্রাস, মাদকসহ সকল ধরনের অন্যায় কাজ কমিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যেই কমিউনিটি পুলিশ কাজ করে। মাদক সেবী ও সন্ত্রাসীরা তাদের কর্মের ভয়াবহতা বুঝতে পারে তাহলে তারা এমন কাজে জড়াবে না। সবাইকে সম্পৃক্ত রেখে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সঠিক বুঝ দিতে হবে যাতে তারা বিপথে না যায়। মাদক নারী নির্যাতন বিরোধ নিষ্পত্তিসহ ২৭টি ক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশ কাজ করে। ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা নিষ্পত্তি করে করবে। বৃটিশ ও পাকিস্তানি পুলিশের সাথে মানুষের দূরত্ব তৈরী হয়েছে। এই দূরত্ব কমিয়ে এনে পুলিশের সাথে সাধারন মানুষের সেতু বন্ধন তৈরী করতে হবে।

আইজিপি বলেন, দেশের তরুণ সমাজকে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাদেরকে জন্নাতের লোভ দেখানো হচ্ছে। জঙ্গিবাদ ইসলামেন পথ নয়। জঙ্গিবাদে জড়ানোর পরেও যদি কোনো যুবক অপরাধ করে না থাকে, তবে সে সহজেই সে পথ থেকে ফিরে আসতে পারবে। পুলিশ তাকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে।

ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আ. এান্নান রসুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বরিশাল ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জের ডিআইজি আকরাম হোসেন, ঝালকাঠি জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ-আলম, সাধারণ সম্পাক খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এর আগে পুলিশ লাইন থেকে কমিউনিটি পুলিশিং র‌্যালীতেও অশং নেন মন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শক।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..