সিলেট ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রাষ্ট্রপক্ষের ৯ সাক্ষীকে মূল জেরা ও অন্য দুই সাক্ষীর পুনঃজেরা করতে চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ২৭ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৯ সাক্ষীকে মূল জেরা ও অন্য দুই সাক্ষীর পুনঃজেরা করতে চাওয়া হয়। এ আবেদন নাকচ করে দেন ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের বিচারিক আদালত। সাক্ষীরা হলেন ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ১৬, ২২, ২৩, ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর সাক্ষী। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানান খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে গত ২২ অক্টোবর ৯ সাক্ষীকে মূল জেরা করতে চেয়ে করা আবেদনটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
অন্য দুই সাক্ষীর পুনঃজেরার প্রয়োজন নেই বলেও আদেশ দেন। তবে ৯ সাক্ষীর বিষয়ে তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে, ওই জেরাই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে বিচারিক আদালতকে বলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই আদেশ গত ২৮ অক্টোবর প্রকাশের পর এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনে খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।
গত ৩০ অক্টোবর শুনানি শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদনে কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার)। ফলে মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা থাকেনি। তবে ১১ সাক্ষীর বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ চাইলে লিভ টু আপিল করতে পারবেন বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত। গত বুধবার লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd