সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
নাটোর প্রতিনিধিঃ বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকাদের অনশনপ্রতিনিয়তই চোখে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে বিষের বোতল নিয়েও অনশনকরতে দেখা যায় প্রেমিকাদের। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রেমিকরাওপ্রেমিকাদের বাড়িতে অনশন করে। কিন্তু ধর্ষকের বাড়িতে ধর্ষিতাবিয়ের দাবীতে অনশন করেছে। এমন নজির নেই বললেই চলে। তবে এমনইএক ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরে নাজিরপুরইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে। জানা গেছে, ঐ গ্রামের রাজদুলইসলামের স্ত্রী সীমা খাতুন (২৪) কে প্রায়ই কু প্রস্তাব দিতপ্রতিবেশী ভাদু শাহের ছেলে উজ্জল শাহ। কিন্ত তার প্রস্তাবে রাজি নাহলে সীমার স্বামী রাজদুল সার ও কীটনাশকের দোকানে ব্যবসার কাজেবাজারে থাকার সুবাদে সুযোগ বুঝে উজ্জল ঐ গৃহবধুর ঘরে গিয়েধর্ষনের চেষ্টা করে।
গৃহবধু সীমার আত্মচিৎকারে তার দেবর খোরশেদআলী গিয়ে উজ্জলকে আটকানোর চেষ্টা করে। এসময় উজ্জলের পরিবারেরলোকজন তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঐ গৃহবধুকে তারস্বামী রাজদুল তালাক দিলে বিপাকে পড়ে যায় । তাই বিয়ের দাবিতেদুইদিন ধরে ধর্ষকের বাড়িতে অনশন করছেন সেই গৃহবধূ। পুলিশ ওসরেজমিন সুত্রে জানাযায়, শনিবার উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নেরবেড়গঙ্গারামপুর থেকে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।বৃহস্পতিবার রাতে বেড়গঙ্গারামপুরে সীমার স্বামী সার ও কীটনাশকব্যবসায়ী রাজদুল বাড়ী না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী উজ্জল তারবাড়ীতে যায়। ধর্ষনের চেষ্টাকালে সীমার ডাক চিৎকারে দেবর খোরশেদগিয়ে উজ্জলকে আটকাতে চেষ্টা করে।
এসময় গেট খুলে দিলে ধর্ষকউজ্জলের পরিবারের লোকজন তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায়রাতেই সীমার স্বামী রাজদুল তাকে তালাক দেয়। ভোরে প্রেমিকউজ্জলের বাড়ীতে আসলে উজ্জলের মা-বাবা তাকে মারপিট করে বাড়ীরবাহিরে বের করে দেয়। পরে গেটে তালা দিয়ে বাড়ীর সবাইকে নিয়েপালিয়ে যায়। এঘটনা থানা পুলিশ জানতে পেরে শনিবার সীমাকেউদ্ধার করে গুরুদাসপুর থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রেজানাযায়, দশ বছর পুর্বে রাজদুল ও সীমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরথেকেই উজ্জল তাদের বাড়িতে বিভিন্ন অজুহাতে ঘোরাঘুরি করতো।ঘটনার দিন মেয়েটির ঘরে উজ্জলকে আটকালেও তাদের লোকজনজোড়পুর্বক বেড় করে নিয়ে যায়। তার পরিবারের লোকজন উজ্জলকেপালাতে সহযোগিতা করে। এ বিষয়ে এলাকার মানুষ জানলেও ভয়ে কেউমুখ খুলতে পারেনি। সীমা খাতুন জানান, বিভিন্ন অজুহাতে তাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতো উজ্জল। ঘটনার দিন রাতে উজ্জল তারবাড়ীতে আসে। প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে জোড়পুর্বক ধর্ষনের চেষ্টাকরে। এঘটনায় তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। উজ্জল বিয়ে না করলেমৃত্যু ছাড়া তার কোন উপায় নেই বলে তিনি জানান। এঘটনায়লম্পট প্রেমিক উজ্জলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়াযায়নি। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতানিশ্চিত করে জানান, মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd