সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পাবনার নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করতে দিশেহারা হয়ে পড়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। শেষে পুলিশকে জানালে তিন ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধার করা হয় অপহূত শিক্ষার্থীকে। সেইসঙ্গে বেরিয়ে আসে অপহরণ নাটকের নেপথ্য রহস্য।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন এ অপহরণ নাটকের রহস্য। সেখানে বলা হয়- ‘বাবা বাঁচাও, ভাইয়া বাঁচাও। ওরা আমাকে খুব টর্চার করছে, টাকা না পেলে আমাকে মেরে ফেলবে। তাড়াতাড়ি বিকাশে টাকা পাঠাও।’ ফোনটা কেটে গেল। এমনটাই ঘটেছিল পার্বতীপুরের মেয়ে রেশমার (ছদ্মনাম) পরিবারের সঙ্গে। এর পর আর ফোন খোলা পাওয়া যাচ্ছিল না।
আধা ঘণ্টা পর আবারও রেশমার ফোন থেকে কল। কাউকে বলার সুযোগ না দিয়েই কান্নাজড়ানো কণ্ঠে ফের একই কথা। সঙ্গে জানাল, দু’জন বোরকা পরা নারী তাকে কৌশলে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে কোথাও এনে আটকে রেখেছে। সঙ্গে বেশ ক’জন ষণ্ডা মার্কা লোকও রয়েছে। তারা তাকে মারধর করছে। টাকা না পেলে কী করা হবে তা সে জানে না। আবারও গোঙানির শব্দ। ফোনটা বন্ধ হয়ে গেল। মাঝে মাঝেই রেশমার ফোন আসে। একই কথা। তাড়াতাড়ি টাকা পাঠাও, পঞ্চাশ হাজার টাকা।
টাকা পাঠানোর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় রেশমার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় পাবনার পুলিশ সুপারকে। এর পর তিন ঘণ্টার অভিযানে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা আসলে কিছুই নয়। প্রেমিকের হাতখরচের টাকা জোগাড় করতে রেশমার নিজের বানানো নাটকে নাস্তানাবুদ তার পরিবার। পাবনা জেলা পুলিশের একটি দল ওতপেতে ছিল বিকাশের দোকানে। রেশমা টাকা ক্যাশ আউট করতে গেলে রোববার রাত ১০টার দিকে হাতেনাতে তাকে ধরা হয়।
পার জিহাদুল কবীর সমকালকে জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়নি। মেয়েটিরও বিয়ে হয়নি। তাই সাংবাদিকদের মেয়েটির ছবি ও পরিচয় দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd