সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
নাজমুন ননাহার মৌলভীবাজার থেকে : চলতি মৌসুমে রুপা-আমন চাষীরা অতি বৃষ্টিসহ সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে দিনের পর দিন হাড় ভাঙা পরিশ্রমেই জমিগুলো চাষাবাদ করেন। সেই অক্লান্ত পরিশ্রমে হেমন্তের বাতাসে ছড়াচ্ছে চতুর্দিকে কৃষকের আনন্দের পাঁকা ধানের ঘ্রাণ। জমিতে জমিতে দোলখাচ্ছে সোনারঙ্গা পাকা ও আধা পাকা ধান। প্রাকৃতিক অপরূপ এসৌন্দর্যে কৃষকের বুকে যেন অপার আনন্দ। ধান কাটা নিয়ে চারিদিকে চলছে নবান্ন উৎসব। সেই উৎসবের ঢেউ লেগেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কৃষি নির্ভর পরিবারগুলোতে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরেদেখা গেছে, আমন ধান কাটা মহোৎসব শুরু হয়েছে। হেমন্তের সকাল থেকেশুরু করে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে ধান কাটা, মাড়াই, বাছাই ওশুকনোর কাজে ব্যস্ত কৃষক ও কৃষাণীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে ৮হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষেরলক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় অর্থাৎ চলতি মৌসুমে কয়েক দফা বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় লক্ষমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যার ফলে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩০৫ হেক্টর জমি আবাদকম হয়েছে। আবাদকৃত জমির পরিমাণ ৭হাজার ৯শ ৪৫ হেক্টর। তন্মধ্যে ব্রি-৪৯ জাতের ধান ১হাজার হেক্টর আবাদ হয়েছে। এ ধান হেক্টর প্রতি ৫-৬টনফলন পাওয়া যাবে। নতুন ধান হিসেবে ব্রি-৫১ ও ব্রি-৫২ জাতের ধান ৫শহেক্টর এবারে পরীক্ষা মূলকভাবে চাষাবাদ করা হয়েছে। এ ধানটি ৭-১০দিনপর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও কোনো ক্ষতি হয় না। এছাড়াও ২৩ভাসমান আলোক সংবেদনশীল জাতের ধানের ফলন ভাল হয়েছে। এ জাতেরধান বিলম্বে রোপন করলেও ভালো ফলন দেয়। গোয়ালবাড়ি ইউপির কচুরগুলগ্রামের কৃষক হাজী নজির আহমদ, বশারত মিয়া ও টালিয়াউরা গ্রামের কামরুল ইসলাম জানান, আমন চাষে খরচ অনেক কম হয়। কারণ, বোরো চাষেরমতো বেশি সেচ ও সার দিতে হয় না। পর্যাপ্ত বৃষ্টি আর পরিচর্যা করলেইআমন ফসল ভালো পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার বলেন,অত্রাঞ্চলের কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, উন্নতমানের বীজসহ অন্যান্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো ফলন সম্ভব হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd