ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : কুমিল্লায় রোকসানা আক্তার বিলকিস নয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ছয় লাখ টাকা নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের তেতিয়া গ্রামের নুর আহাম্মদের দ্বিতীয় ছেলে বাহরাইন প্রবাসী নাজমুল হাসান সুমনের সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শুভপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাসী নুর মোহাম্মদের একমাত্র কণ্যা রোকসানা আক্তার বিলকিসের বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী সুমন বাহরাইন চলে যায়। স্বামী-স্ত্রীর দু’জনের মোবাইলে যোগাযোগ ভালোই চলছিল। স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে স্ত্রী বিলকিস তার গ্রামের আনোয়ার নামের এক শিক্ষকের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি স্বামী টের পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে বিলকিস ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় বিলকিস স্বামীর সাথে প্রায় মোবাইলে ঝগড়া করতো।
এরই মধ্যে এক বছর পর স্বামী সুমন বিদেশ থেকে দেশে আসলেও বিলকিস ঝগড়াসহ টালবাহানা শুরু করে। এভাবে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন চলতে থাকে। চলতি বছরের ১ মার্চ সকালে বিলকিস নাঙ্গলকোট বাজারে কেনাকাটার কথা বলে আর বাড়ি ফিরেনি। পরবর্তীতে নিকটাত্মীয়সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এঘটনায় সুমন নাঙ্গলকোট থানায় পরদিন একটি সাধারণ ডায়েরী করে। পরে জানা যায়-সে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। এরপর তাকে আনার জন্য শুভপুর ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কয়েকবার চেষ্টা করলেও তাতে বিলকিস ও তার মা রানু বেগম কোন সাড়া দেয়নি।
জানা যায়, আনোয়ার নামের এক শিক্ষকের সাথে পরকীয়া থাকায় সে স্বামীর বাড়ি ফিরছে না। সমাজের কারো কোন কথা শুনছে না বিলকিস ও তার পরিবার। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী স্বামী নাজমুল হাসান সুমন কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী-শিশু সহায়তা সেলে অভিযোগ ও নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১১ নভেম্বর নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ১৯ নভেম্বর কুমিল্লা সুপারের কার্যালয়ের নারী ও শিশু সহায়তা সেলে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ করে। কিন্তু স্বামী সুমন ও তার পক্ষ উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী বিলকিস ও তার পক্ষ উপস্থিত হয়নি।
সুমনের পরিবার সুত্রে জানা যায়, স্বামী সুমনের প্রবাসে কষ্টে উপার্জিত ৬ লক্ষ টাকা পাঠায় স্ত্রী বিলকিসের নামে এবং বিয়ের সময় ৯ ভরি স্বর্নালংকার দেয়। যাওয়ার সময় সেই টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। তারা সামাজিকভাবে কোন শালিশ বা পুলিশের কোন নোটিশে কর্ণপাত করছে না।
এ ব্যাপারে শুভপুর ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, বিলকিস ও তার পরিবার উশৃঙ্খল। তারা কোন কথা শুনতে চাইছে না।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ২৪ নভেম্বর শুক্রবার বিলকিসের মা রানু বেগমের মোবাইলে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে কল কেটে দেন। সূত্রঃ সাপ্তাহিক আলোকিত চৌদ্দগ্রাম