সিলেট ৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
ক্রাইম ডেস্ক : গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ শহরের এক অভিজাত হোটেল ও রেস্তোঁরায় অভিযান চালিয়ে রোববার সন্ধ্যায় কুটুমবাড়ি কটেজ একটি কক্ষে সাবেক প্রেমিকার সাথে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় আটক করা হয় আকরামুল ইসলাম (২৫)। আকরামুল স্বীকার করে দেড় বছর আগে সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তির সাথে তার প্রেমিকার বিয়ে হয়েছে। রোববার নিজের জন্মদিন পালন করতে প্রেমিকাকে নিয়ে এ হোটেলের একটি কক্ষ এক ঘন্টার জন্য ২ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। তাদের এ কাজে হোটেল বয় নয়ন ফকির সহযোগীতা করেছে।
রোববার সিরাজগঞ্জ শহরের অভিজাত হোটেল ও রেস্তোঁরায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে চারজনকে কারাদণ্ডদেশ দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউসুল আযমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আকরামুল ইসলাম (২৫), কুটুমবাড়ি কটেজের কর্মচারী সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের হাবিব উল্লাহর ছেলে নয়ন ফকির (২৭), হোটেল মাদার বক্সের মালিক লিটন তালুকদার ও কর্মচারী সাইদুল ইসলাম।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. গাউসুল আযম জানান, এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য আকরামুল ও নয়নকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডদেশ দেয়া হয়েছে। মেয়েটিকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়। পাশাপাশি অপরিচ্ছন পরিবেশ ও অসামাজিক কর্মকান্ডে সহযোগিতার জন্য হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অপরদিকে, হোটেল মাদারবক্সের একটি কক্ষে ৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার দায়ে মালিক লিটন তালুকদার ও কর্মচারী সাইদুল ইসলামকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়াও অনুমোদন নবায়ন না করায় নিমন্ত্রণ হোটেলকে ২০ হাজার, বাঁশি খাবার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরী এবং পরিবেশনের দায়ে আরমানী রেস্তোঁরাকে ২০ হাজার, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনবিহীন কেক তৈরী করার দায়ে টফি বেকারী মালিক আনোয়ার হোসেনকে ৫০ হাজার, অনুমোদনহীন কেক বিক্রির দায়ে হেলথ কনফেকশনারীকে ১০ হাজার এবং বিএসটিআই’র লেবেল না লাগিয়ে ঘি বিক্রির দায়ে ধানসিঁড়ি দইঘরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় র্যাব ১২’র কোম্পানী কমান্ডার তানভীর আহম্মেদ, জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মো. আলী জিন্নাহ, বিএসটিআই রাজশাহীর পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
………………………..
