মৌলভীবাজারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৭

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার নুরজাহান প্রাইভেট হাসপাতালে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক, এক ডাক্তারসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত প্রসূতির দেবর মিন্টু পাল বাদী হয়ে বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন- মৌলভীবাজার ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপালের চিকিৎসক ডা. ফারজানা হক পর্ণা ও নুরজাহান প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোয়াহিদ আহমদ। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পপি রাণী পাল সন্তান সম্ভাব্য হওয়ায় গত ২৪ নভেম্বর রাত ৮টায় নূরজাহান প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। নিহত পপি রাণীর পরিবার সার্জারী করার জন্য ডা. সুধাকর কৈরীকে চাইলে হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন ডা. ফারজানা হক পর্ণা ভাল ডাক্তার, মহিলাদের জন্য মহিলা চিকিৎসক ভাল হবে। পপি রাণী পালকে রাত্র ৯টায় ওটিতে নেয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টায় সার্জারীর মাধ্যমে এক পুত্র সন্তান জন্য নেয়। রাত সাড়ে ১০টার সময় পপি রাণী পাল এর রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। ডা. ফারজানা হক পর্ণা ও তার সহযোগীরা ৩বার অপারেশন করেন এবং হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ পেটের ভিতর বেলুন ডুকিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেন। বেলুনে প্রচুর রক্ত জমা ছিল। এই ভাবে ডা. ফারজানা হক পর্ণা এবং তাহাদের সহযোগীরা বার বার চেষ্টা করিয়া রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ভোর ৬টার দিকে মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা উন্নত করার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এম.এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পর পপি রাণী পালের অবস্থা আরো আশংকাজনক হয়। তাকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে প্রেরণ জন্য বলেন ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর শারিরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি দেখে ঢাকায় না গিয়ে সিলেটের স্থানীয় পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কৃত্তিম বেলুন পদ্ধতি অপরিবর্তিত রেখে ৮ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। তবুও কোন উন্নতি হয়নি এবং রাত ৪টায় পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পপি রাণী পাল মারা যান।

মামলায় আরো বলা হয়, মামলার ১ম আসামী ডা. ফারজানা হক পর্ণা নিহত পপি রাণী পালকে ভুল ভাবে অস্ত্রোপচার করে পেটের ভিতরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রতঙ্গ কেটে তাড়াহুড়া করে ডেলিভারি সম্পন্ন করেন এবং ২য় আসামী তোয়াহিদ আহমদসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের সহযোগীতায় ২৪ নভেম্বর রাত ৯টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত তাদের অধীনে রেখে মৃত্যু নিশ্চিতের পথে মুমূর্ষ অবস্থায় সিলেট এম.এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের রেফার্ড করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..