সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন : সিলেট বিভাগের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সিলেটের ডাক দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পর ফিনিক্স পাখির মত জেগে উঠেছে। দুদিন আগে পত্রিকাটি প্রকাশের পর পরই আবারো স্বমহিমায় সিলেট বিভাগের সবার্ধিক প্রচারিত দৈনিকের আসনটিতে আসীন হয়েছে। দৈনিক সিলেটের ডাক পরিবারের একজন কর্মী হিসেবে এটি আমাদের জন্য অনন্য পাওয়া। সিলেটবাসীর কাছে দৈনিক সিলেটের ডাক যে দারুনভাবে সমাদৃত এবং স্থানীয় অন্য কোন দৈনিকের যে সে মানের গ্রহণযোগ্যতা নাই, সাড়ে ৫ মাসেও কেউ দৈনিক সিলেটের ডাক-এর শূন্যস্থান দখল করতে না পারার মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।
কিন্তু, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর পুণঃপ্রকাশের মাত্র ৩ দিনের মাথায় স্থানীয় একটি সহযোগী দৈনিক এবং একাধিক অনলাইন পত্রিকা দৈনিক সিলেটের ডাক-এর পুণঃপ্রকাশের আইনী বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় একটি নাতিদীর্ঘ সংবাদ প্রকাশ করেছেন। ঐ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে- এক : পত্রিকাটির সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি জনাব রাগীব আলীর রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বা নিবন্ধন বাতিল করে জেলা প্রশাসকের দেয়া আদেশ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং এই বাতিল আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা- এই মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন।
দুই : দৈনিক সিলেটের ডাক কর্তৃপক্ষ ঐ আদেশের পর পরই এ সংক্রান্ত আইনজীবীর সার্টিফিকেট জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে পরদিন থেকে আবারো পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে দৈনিক সিলেটের ডাক কর্তৃপক্ষ আইন লঙ্ঘণ করেছেন।
তিন : দৈনিক সিলেটের ডাক প্রায় সাড়ে ৫ মাস বন্ধ ছিল। পত্রিকাটি পুণরায় প্রকাশের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ঘোষণাপত্র নেয়া প্রয়োজন ছিল, যা নেয়া হয়নি। এর ফলে আইনের লঙ্ঘণ হয়েছে।
চার : পত্রিকাটির প্রকাশক রাগীব আলী আদালতের দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি পত্রিকা প্রকাশ করতে পারেন না। এর মাধ্যমে প্রিন্টিং প্রেস এন্ড পাবলিকেশন ডিক্লারেশন এক্ট ১৯৭৩ এর ২০ ধারার লঙ্ঘণ করা হয়েছে।
পাঁচ : গত ২৯ নভেম্বর রাগীব আলীর নিযুক্ত আইনজীবীর একটি ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেট ফ্যাক্সযোগে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ছয় : একটি নামবিহীন প্রেসে দৈনিক সিলেটের ডাক ছাপানো হচ্ছে, যা আইনের লঙ্ঘণ। রাবেয়া অফসেট প্রিন্টিং প্রেস, মধুবন মার্কেট- এই ঠিকানা থেকে দৈনিক সিলেটের ডাক প্রকাশিত হলেও এ নামে মধুবন মার্কেটে কোন ছাপাখানার অস্তিত্ব নেই।
আসুন দেখা যাক, সংবাদের বিষয়বস্তু অনুযায়ী দৈনিক সিলেটের ডাক-এর পক্ষ থেকেকোনরূপ আইনের লঙ্ঘণ হয়েছে কি-না।
প্রথমত : নি¤œ আদালতের প্রদত্ত রায়ে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর প্রকাশক ড. রাগীব আলী দন্ডিত হবার পর পরই তিনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে তার ভাতিজা আব্দুল হান্নানকে দায়িত্ব প্রদান করেন, এ সংক্রান্ত পত্র সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। কিন্তু, জেলা প্রশাসক মহোদয় সেই পত্র আমলে না নিয়ে চলতি বছরের ১৫ জুন জারি করা এক পত্রে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বাতিল করার কথা জানান এবং ঐ পত্র ১৮ জুন দৈনিক সিলেটের ডাক কার্যালয়ে পৌছে দেয়া হয়। ফলে, পরদিন থেকে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে, জুডিসিয়াল মাইন্ড থেকে বিচার্য বিষয় হলো-
এক : রাগীব আলী প্রকৃত-ই দন্ডিত কি-না ? উত্তর হচ্ছে-না। কোন আদালতের চুড়ান্ত রায়ে রাগীব আলীকে দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়নি।
সিলেটের চীফ জুডিসিয়াল আদালতের প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে ড.রাগীব আলী ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে আপীল করেছেন। বিজ্ঞ আদালত যথারীতি আপীল গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তীতে এ মামলায় ড. রাগীব আলী আপীল করেছেন।
এর অবস্থায় ড. রাগীব আলীকে দন্ডপ্রাপ্ত (ঈড়হারপঃবফ) হিসেবে বিবেচনার সুযোগ নেই। বরং, যেহেতু রাগীব আলীর বিরুদ্ধে এখনো এ মামলার আপীল বিচারাধীন, সেহেতু এখন তাকে অভিযুক্ত (অপপঁংবফ) হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
সুতরাং, যেহেতু এ মামলায় চূড়ান্ত রায় হয়নি, সেহেতু আর দশ জন নাগরিকের মত ড. রাগীব আলীর পক্ষ থেকে পত্রিকা প্রকাশের কোন আইনগত বাধা থাকার কথা নয়।
দ্বিতীয়ত : পত্রিকার প্রকাশনা অধিকার বা ডিক্লারেশন বাতিলের ক্ষেত্রে সিলেটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরূপ কারণ দর্শানোর নোটিশও প্রদান করা হয়নি দৈনিক সিলেটের ডাক কর্তৃপক্ষকে। এমনকি, ড. রাগীব আলী কারাগারে থাকা অবস্থায় পত্রিকার প্রকাশনার দায়িত্ব সাময়িকভাবে অন্য ব্যক্তির নিকট হস্তান্তরের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পত্র দিলেও সে পত্র আমলে নেয়া হয়নি।
এ অবস্থায় ড. রাগীব আলী বা দৈনিক সিলেটের ডাক কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ পাননি বা প্রকাশনা সংক্রান্ত সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানোর কোন সুযোগ দৈনিক সিলেটের ডাককে দেয়া হয়নি। এ কারণে, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর পক্ষ থেকে আইনী প্রতিকার চেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করা হয়। ঐ রীটে কোন এক তরফা আদেশ দেননি বিজ্ঞ হাইকোর্ট বেঞ্চ। দোতরফাসূত্রে শুনানী শেষেই যথাযথভাবে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশটি স্থগিত করেছেন বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ।
তৃতীয়তঃ দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বাতিলের ব্যাপারে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ যথারীতি জেলা প্রশাসকের কাছে পৌছানো হয়েছে। ২৯ নভেম্বর দুপুরে আদালতের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। বিকেলে সংশ্লিষ্ট বিচারকবৃন্দ আদেশে স্বাক্ষর করার পর পরই ড. রাগীব আলীর নিযুক্ত আইনজীবী আদেশ দেখে সে আলোকে ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেট ফ্যাক্সযোগে পাঠান সিলেটের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে। আইনজীবী প্রদত্ত ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেটের ছাপা কপিও ২৯ নভেম্বর বিকেলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের ডেসপাস সেকশনে ডকেট নাম্বারসহ জমা করা হয়। আবারো ২৯ নভেম্বর রাতেই খোঁজ নিতে গেলে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মহোদয় ঐ আইনজীবী সনদের কপি ‘সিন’ করে নিজে এ বিষয়ে জ্ঞাত হয়েছেন।
এ বিষয়ে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, উচ্চ আদালতের আদেশের ক্ষেত্রে নি¤œ আদালত বা অধঃস্তন আদালতে দাখিল করা ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেটকে ‘জাস্টিফাই’ বা অনুমোদনের আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশের সার্টিফাই কপি নি¤œ আদালতে পৌছানোতে অনেক ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়, ফলে মামলার পক্ষগণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিধায় ৪৪ ডিএলআর ২১৯ এর আলোকে আইনজীবীগণ ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেট প্রদান করেন, যা সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ আদালতের আদেশের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য।
সুতরাং, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ যথাযথভাবেই জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় হাইকোর্টের আদেশ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর দৈনিক সিলেটের ডাক এর প্রকাশনায় আর কোন বাধা থাকার কথা নয়।
চতুর্থতঃ দৈনিক সিলেটের ডাক মোট ১৬৪ দিন প্রকাশিত হয়নি। এক্ষেত্রে প্রকাশনা ও ছাপাখানা আইনের বিধান অনযায়ী কোন পত্রিকা ৩ মাস বন্ধ থাকলে নতুন করে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ডিক্লারেশন বা ঘোষণাপত্র নেয়ার কথা। কিন্তু, এ বিধান দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবেনা। কারণ,
দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। সাময়িকভাবে পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ থাকার বিষয়টি বিশেষ পরিস্থিতিতে উদ্ভুত এবং রীটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পুরো সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছ থেকে নতুন করে ঘোষণাপত্র বা ডিক্লারেশন নিলে প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যা হিসেবে দৈনিক সিলেটের ডাক-কে প্রকাশনা শুরু করতে হতো। কিন্তু, দৈনিক সিলেটের ডাক আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে তার প্রকাশনায় ৩৪ বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
পঞ্চমতঃ দৈনিক সিলেটের ডাক প্রকাশের ক্ষেত্রে আদালতের কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রেরিত ডিক্লারেশন বাতিল সংক্রান্ত আদেশ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ডিক্লারেশন সংক্রান্ত পূর্বের আদেশ বহাল থাকে এবং ঐ আদেশের বলেই দৈনিক সিলেটের ডাক পুণরায় প্রকাশিত হচ্ছে।
যেমন ধরা যাক, আপনার একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে আপনার গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করে দিলেন। ফলে, আপনার গাড়িটি আর রাস্তায় নামাতে পারবেন না। আপনি আদালতে গিয়ে প্রতিকার চাইলেন। আদালত বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে শোকজ করলেন এবং আপনার গাড়ী রুট পারমিট বাতিল করে দেয়া বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের দেয়া আদেশকে স্থগিত করে দিলেন। এ অবস্থায় সুষ্পষ্টভাবে বলা যায়, রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনার গাড়িটি রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে কোন আইনী বাধা নেই।
একই ভাবে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশ বিজ্ঞ হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থগিত করে দেয়ায় দৈনিক সিলেটের ডাক-এর প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে কোন সমস্যা রয়েছে বলে আমি মনে করিনা।
ষষ্ঠতঃ দৈনিক সিলেটের ডাক তার নিজস্ব প্রেস রাবেয়া অফসেট প্রিন্টিং প্রেস থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। রাবেয়া অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের কার্যালয় মধুবন মার্কেটে অবস্থিত। উক্ত ছাপা খানার মেশিনটি কোথায় অবস্থিত সেটি কোন বিচার্য বিষয় নয়।
সুতরাং, এক্ষেত্রেও দৈনিক সিলেটের ডাক কোনরূপ আইনের লঙ্ঘণ করছেনা।
এক্ষেত্রে আরো উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সিলেটে অনেকগুলো দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। এগুলো জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছ থেকে ডিক্লারেশন নেয়ার সময় কোন প্রেস থেকে ছাপা হবে, সে বিষয়ে প্রেস কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিপত্র দাখিল করেছে। কিন্তু, সংবাদপত্র সংশ্লিষ্টদের প্রায় সবারই জানা যে, দৈনিক সিলেটের ডাক ছাড়া আর কারোরই চার রঙ্গা রুল মেশিনে ছাপার উপযোগী নিজস্ব মেশিন নেই। সিলেটের প্রায় সবগুলো পত্রিকাই ঢাকা থেকে ছাপিয়ে এনে সিলেটে বিতরণ করা হচ্ছে।
এবার আশা যাক মূল বিষয়ে, দৈনিক সিলেটের ডাক সিলেটবাসীর কাছে স্থানীয় পত্রিকার প্রতিশব্দ। শিল্পপতি রাগীব আলীর পৃষ্টপোষকতা ও মালিকানায় এই পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু, শুরু থেকেই দৈনিক সিলেটের ডাক তার নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্টতা বজায় রেখে চলেছে। দৈনিক সিলেটের ডাক-এ প্রকাশিত সংবাদের মান স্থানীয় অন্য দৈনিকগুলোর চেয়ে ভাল, নাকি মন্দ সেটি বিচারের ভার পাঠকের। তবে, এখনো দৈনিক সিলেটের ডাক-এ প্রকাশিত সংবাদকেই সিলেটবাসী ‘অথেনটিক’ বা নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেন। এ কারণে, দীর্ঘ ১৬৪ দিন বন্ধ থাকার পরও স্থানীয় অন্য কোন দৈনিক পত্রিকা দৈনিক সিলেটের ডাক-এর শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম হয়নি।
আর এ কারণেই ছলে বলে কৌশলে মহল বিশেষ দৈনিক সিলেটের ডাক-এর অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জেলা প্রশাসনকে আইনী জটিলতায় ফেলে এর ডিক্লারেশন বাতিল করানোতেও মহল বিশেষের হাত ছিল বলে আমি সন্দিহান।
‘ডাক’ তো ‘ডাক’-ই। এর কোন প্রতিপক্ষ থাকতে পারে বলে আমি মনে করিনা। এর কোন প্রতিদ্বন্দ্বিও সিলেটের মার্কেটে নেই। কারণ, প্রচার সংখ্যার দিক দিয়ে দৈনিক সিলেটের ডাক অন্য দৈনিকগুলোর তুলনায় অনেক সম্মুখে। সিলেটের বাজারে আর যে সব পত্রিকা রয়েছে তাদেরকে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সহযোগী দৈনিক বলেই আমরা মনে করি। স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে সংবাদ প্রকাশের বা পাঠকের চাহিদা পূরণের প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। সেটি একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা নিঃসন্দেহে। কিন্তু, আইনী মারপ্যাচ খেলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে স্থান করে নেয়ার প্রতিযোগিতা কোন সুস্থ প্রতিযোগিতা নয়, বরং অসুস্থতার লক্ষণ।
আসুন, আমরা সবাই মিলে সুস্থ প্রতিযোগিতা করি। কারণ, এটি হলে সিলেটের সংবাদপত্র জগৎ উপকৃত হবে। সাংবাদিকতার মান উন্নত হবে। মানুষ হিসেবে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর প্রকাশক ড. রাগীব আলীর ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতেই পারে। কিন্তু, দৈনিক সিলেটের ডাক এখন আর ড. রাগীব আলীর একক সম্পত্তি নয়, এটি এখন সিলেটবাসীর সম্পদ। সিলেটবাসীর নির্ভরতার
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd