সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেট-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিমের বিপরীতে মাঠে নামছেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম চৌধুরী। নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে দুই প্রার্থীই নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সান্নিধ্য পেতেও তারা চালিয়ে যাচ্ছেন জোর প্রচেষ্টা। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে কোনো প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
সিলেট-৪ আসনটি গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। তিন উপজেলার মধ্যে আয়তনে গোয়াইনঘাটই সবচেয়ে বড়। এ উপজেলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার। নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি ঝুলিতেই ছিলো আসনটি। সে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন দিলদার হোসেন সেলিম। তার বাড়িও এ উপজেলাতেই।
অপরদিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম চৌধুরী এ উপজেলারই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। গত নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। উপজেলার চেয়ারম্যানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার তিনি দলীয় টিকেট নিয়ে সংসদে যাওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, সিলেট-৪ আসেনর গোয়ানঘাট উপজেলার স্থানীয়দের কাছে চেয়ারম্যান হিসেবে আব্দুল হাকিম চৌধুরী জনপ্রিয়। বেশিরভাগ সময় তিনি এলাকাতেই অবস্থান করেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতা দিলদার হোসেন সেলিম সাবেক এমপি হলেও তিনি অবস্থান করেন সিলেট শহরে। নিয়মিত এলাকায় তার আসা যাওয়া রয়েছে। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে হেরে যান। ২০০১ সালের আগে বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সেলিম শুরুতে ছাত্র ইউনিউয়ন করতেন। পরবর্তী আওয়ামী লীগের রাজনীতের সঙ্গে যুক্ত হন। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। অপরদিকে, আব্দুল হাকিম চৌধুরীর রাজনীতি শুরু হয়েছে উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হননি। ফলে বিএনপির একনিষ্ঠ সমর্থকদের কাছে তিনি নিজেদের মানুষ বলে পরিচিত।
বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে দিলদার হোসেন সেলিম এগিয়ে আছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় মনোনয়ন বাগিয়ে আনার দৌড়ে তিনি এগিয়ে আছেন। দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানসহ অন্যান্য নেতাদের গোয়াইনঘাট এনে সমাবেশ করিয়ে ভোটারদের ও সামনে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
এ বিষয়ে সেলিম বলেন, মনোনয়ন পেলে অবশ্যই নির্বাচন করবো। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের উপর সবকিছু নির্ভর করবে।
এদেিক, থেমে নেই প্রতিন্দ্বন্দ্বী হাকিম চৌধুরীও। সেলিমের সমাবেশ বয়কট করে স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতাদেও নিয়ে তিনি ছুটে গেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেও কাছে। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঙ্গে দেখা করে মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
হাকিম চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষ আমাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চায়। মানুষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক আমার যোগাযোগ আছে। তাছাড়া আমি বিএনপি ছাড়া আর কোনো দল করিনি। সুতরাং মাঠের কর্মী হিসেবে আমারই প্রাপ্য।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতারা সবাই আমার সঙ্গে আছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও বিপুল ভোটে দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিশ্বাস সংসদ নির্বাচনেও জনগণ এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে কোনো প্রার্থীই স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এই দিকে সিলেট-৪ আসনটির নেতাদের অভ্যন্তরীন কোন্দল না মেটাতে পারলে হাত চাড়া হতে পাওে আসটি বলে মনে করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd