সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
দিরাই প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর হচ্ছে ‘শীতল পাটির গ্রাম’।
ওয়ার্ড মেম্বার লাল মিয়া জানান, রামেশ্বরপুর গ্রামে শীতল পাটি অনেক পুরনো ঐতিহ্য, প্রায় দুইশত বছর হবে ওরা শীতল পাটির কাজ করে আসছে গ্রামের ১০০ টি পরিবারের মত ধনী গরিব পাইটাল দীর্ঘদিন ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে রামেশ্বরপুর গ্রামের শীতল পাটি শিল্পকে। যৌথ পরিবারের নারী-পুরুষ সবাই পাটি বুননে পারদর্শী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা পাটি বোঁনে। যদিও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের কায়স্থ পরিবারের নারী-পুরুষরা পাটি তৈরির কাজ করে থাকে।
রামেশ্বরপুর গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, এখানে,ছেলে,মেয়ে, নারী-পুরুষ মিলেই পাটি তৈরির কাজ করছে।
রামেশ্বরপুর গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে পাটি তৈরির কাজে নারী-পুরুষ সমানভাবে অবদান রাখছে। পাটি তৈরিতে পুরুষ বেতি তোলার কাজ করে আর নারীরা বুননের মধ্য দিয়ে একটি পাটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়। বুননের সময় রঙ্গীন বেতির মাধ্যমে শীতল পাটির নানা নকশার কাজ করে নারীরা। এতে অপরূপ সুন্দর হয়ে উঠে পাটি। এভাবেই শত বছর ধরে এখানে ধরে রেখেছে পাইটালদের বাপ দাদার ঐতিহ্য।
অবলা রানী দত্ত বলেন একটি বড় সাইজের শীতল পাটি তৈরি করতে ৫,৬ লেগে যায়, ১৮ গন্ডার বড় বেত প্রয়োজন হয়। । যার দাম পড়ে ১০০০,১২০০ টাকা। তিনি আর বলেন ছোট সাইজের একটি শীতল পাটি তৈরীতে রং, বেতি, বাবদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হয়। সময়ও লাগে ৩,৪ দিন। আর সেটি বিক্রি করি ৫০০,৬০০ টাকায়। এতে যে টাকা লাভ হয় তাতে সংসারে কিছুই হয়না। তিনি আর বলেন এখন গ্রামের অনেক পুরুষরা অন্যকাজে জড়িত হয়ে পড়ছে।
দুলন রানী দত্ত জানান, তার বাবা,মা,দাদী,বোনের কাছ থেকে ছোট বেলায় কাজ শিখেছেন।তাদের পরিবারের সবাই পাটি বুনন করে আসছেন। আমার ঠাকুরদা-ঠাকুরমা পাটি তৈরির কাজ করতেন। তার পূর্ব পুরুষেরাও এ পেশাতেই ছিলেন।আমাদের পরিবারগুলোতে কেউ বউ হয়ে এলে তাকেও পাটি বুননের কাজ করতে হয় বলে তিনি জানান।
পাশের গ্রামের বিউটি আক্তার জানান রামেশ্বরপুর গ্রামে আমরা ছোট বেলা থেকে দেখছি গ্রামের প্রতিটি পরিবার শীতল পাটি তৈরী করছে, ওরা পাশ্ববর্তী উপজেলার জামালগঞ্জ,তাহেরপুর,ধর্মপাশা গিয়ে পাটি বিক্রয় করে,আবার এসব জায়গা থেকে পাটি তৈরীর কাচা মাল বেত সংগ্রহ করে।আবার অনেক জায়গা থেকে পাইকার আসে রামেশ্বরপুর গ্রামে পাটি কিনতে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd