সিলেট ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশ ও সময় উপভোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে গেলো সিলেটের বিভিন্ন হাইস্কুলে এসএসসি ১৯৭৬ ব্যাচের সহপাঠীদের মিলনমেলা। সোমবার রাতে নগরীর ফাজিলচিশ্তী-এ অবস্থিত রেইনবো গেস্ট হাউসে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যের পালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় পর্ব সম্পন্ন হয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহপাঠী মিলনমেলার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ জাহেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুফতি মোহাম্মদ সুহেল উদ্দিন আহমদ। সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য সহপাঠী মিলনমেলায় যোগদান করেন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফল হক চৌধুরী। দীর্ঘদিন পরে এক সাথে মিলিত হওয়ায় তারা যেন সেই আগের দিনে ফিরে গিয়েছিল। ছোট ছোট হাসিখুশি, খুঁনসুটি আর ঝগড়ার সমন্বয়ে মিষ্টি ভালেবাসায় যেন তারা আবার হৃদয় আবার জড়াজড়ি করতে লাগলো। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চলছিল ফটোসেশনের পালা। তাদের সবার আচরণের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছিল একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার যন্ত্রণা, সেটা ভালোবাসায় আবার যেন প্রাণ ফিরে পেল।
হাসিখুশির এ আড্ডায় অংশগ্রহণ করেন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট ও সিলেট স্টেশন ক্লাবের সভাপতি এডভোকেট এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম (শাহীন), সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দীন আহমদ, দেবাশীষ দে বাসু, শিবতোষ চক্রবর্তী, আহমেদ কবীর, সৈয়দ মুজিবুর রহমান, মো. নওরোজ জাহান মারুফ, মো. নজরুল হোসাইন, মুফতি মো. সুহেল উদ্দীন আহমেদ, আশরাফ হোসাইন চৌধুরী, পরিমল বণিক, অহিদুজ্জামান চৌধুরী, মো. আজিজুর রহমান (সুন্দর), এহতেশামুল হক বাহার, এ. কে. এম. বদরুল আমিন (হারুন), মোহাম্মদ মোবারক, সৈয়দ নাহিদ আহমদ (টিপু), আজিজুর রহমান, এডভোকেট খাদেমুল মিল্লাত মো. জালাল, শুভংকর দাশ, অধ্যাপক মো. হেনা সিদ্দিকী, মুফতি মোহাম্মদ জাহিদ, এ কে এম ইয়াহইয়া, শাহ খলিলুর রহমান (রাজা), মঈনুল ইসলাম, জয়ন্ত কুমার বর্ধন, সাধন চন্দ্র দত্ত, শেখর ভট্টাচার্য্য, মো. আজাদ উদ্দিন, মুস্তাক আহমদ, নাজমুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান জিলু, মো. নাজমুল ওয়াহিদ চৌধুরী, মো. গোলাম মোস্তফা, শওকত আলী শান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পরে সকলের দেখা পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে। ইচ্ছে হচ্ছে সেই আগের দিনগুলোতে ফিরে যেতে। ভবিষ্যতেও যেন আমাদের সকলের প্রতি এরকম ভালোবাসার সম্পর্ক বজায় থাকে এটাই প্রত্যাশা করি।
আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ভবিষ্যতেও আরো এরকম আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হবে। ভবিষ্যতের আয়োজনের জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
অনুষ্ঠানের মধ্যে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিবতোষ চক্রবর্তী ও মিহির চক্রবর্তীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া ও ইমন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে ক্রেস্ট প্রদান করাসহ এক লটারীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া এই প্রাণের আড্ডা এবং মিলনমেলার স্মৃতিকে স্মরণ রাখতে সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয় সহপাঠী মিলনমেলার ভালোবাসায় মোড়ানো স্মারক ‘জীবনের জয়গানে হৃদয়ের টানে’ নামক ম্যাগাজিন। এ যেন সকলের কাছে এক অমূল্য সম্পদ। হাজারো মাইল দূরে থাকলে এই স্মারক মনে করিয়ে দিবে ‘বন্ধু’ তুমি আছো আমার হৃদয়ে। অবশেষে এক অন্যরকম নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd