সিলেট ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় নবীন শিক্ষার্থীকে অর্ধনগ্ন করে রাতভর র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী আখালিয়া তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছয় নবীন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের নিকটবর্তী একটি মেসে ডেকে নিয়ে রাতভর নির্যাতন করে ঐ বিভাগেরই ১৯ জন ও পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের ১ জন সিনিয়র শিক্ষার্থী। এমনকি অর্ধনগ্ন করে ছবি তুলে ফেসবুকে সেসব ছবি আপলোড করতে বাধ্য করা হয় ঐ ছয় শিক্ষার্থীকে।
পরবর্তীতে ছবি রিমুভ করা হলেও পরিচিত হওয়ার নাম করে সারারাত তাদের অর্ধনগ্ন করে নানা কায়দায় নির্যাতন করায় হতবাক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ওইসব ছাত্ররা। এমনকি এ বিষয়ে কাউকে জানালে ভবিষ্যতে আবারও হয়রানি করার হুমকি দেয়া হয় ভিক্টিমদের। সম্প্রতি এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের দ্রুত শাস্তির সম্মুখীন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
ক্যাম্পাস সুত্রে জানা যায়, যেকোন সময় এমন র্যাগিংয়ের শিকার হতে পারে এই ভয়ে সর্বদাই তটস্থ থাকতে হয় কোমলমতি নবীন শিক্ষার্থীদের। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ‘র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে র্যাগিং। ক্যা¤পাস ও আবাসিক হলের পাশাপশি পার্শ¦বর্তী মেসগুলোতে হরহামেশাই ঘটছে নির্যাতনের ঘটনা।
র্যাগিং বৃদ্ধির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা নীতিকেই দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন কর্তৃক প্রতিবছর র্যাগিং নিষিদ্ধ করে ক্যাম্পাসে ব্যানার টানানো ছাড়া অন্যকোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলেই র্যাগিং বেড়ে চলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, পরিচিত হওয়ার জন্য মেসে ডেকে নিয়ে তাদের রাতভর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে কিছু সিনিয়র শিক্ষার্থী। তবে এ ব্যাপারে বেশিকিছু বলতে নারাজ ভিক্টিম শিক্ষার্থীরা।
শুধু ছাত্ররাই নয়, ছাত্রীরাও র্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছে প্রায়ই। কিন্তু পরবর্তীতে ঐসব সিনিয়রদের দ্বারা আরও হয়রানির শিকার হতে পারেন এ ভয়ে র্যাগিংয়ের বিষয়ে অভিযোগ দিচ্ছেনা তারা। বৃহস্পতিবারের র্যাগিংয়ের ঘটনায়ও এখন পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডির কাছে ভিক্টিমরা অভিযোগ দেয়নি।
তবে প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ভয় না পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রশাসনের মাধ্যমে এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। সোমবার তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, এ মূহুর্তে আমরা বৃহস্পতিবারের ঘটনাসহ দুইটি কেইস নিয়ে কাজ করছি। এগুলোর বিচার হলেই যারা র্যাগ দেয় ও র্যাগ সমর্থন করে তাদের কাছে উপযুক্ত বার্তা পৌঁছে যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd