সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিয়ানীবাজারে ভাবীর প্ররোচনায় খুন হয়েছে এক দেবর। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় পৌরশহরের খাসারীপাড়ার দুলুর কলোনীতে এ হত্যাকান্ড ঘটে । নিহত আলম হোসেন (২২) ওই গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের পুত্র। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মহিলাসহ দু’জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সংবাদসূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরের খাসারীপাড়ার সুলতান আহমদের পুত্র ও নিহত আলমের বড়ভাই জামিল হোসেন ফ্রান্স প্রবাসী। সম্প্রতি দেশে ফিরে চাচাতো বোন নাজমিন বেগমকে বিয়ে করেন। নাজমিন বেগম তার চাচা ও প্রতিবেশী সোনা মিয়ার মেয়ে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী নাজমিন ও নাজমিনের স্বজনদের প্ররোচনায় জামিল তার পরিবারে সাথে নানা কলহে লিপ্ত হয়। এ নিয়ে প্রায়ই পরিবারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। নাজমিনের পিতৃপরিবার পর্যন্ত এ বিরোধ গড়ায়। এ নিয়ে শুক্রবার বাদ জুমআ’ নাজমিন পরিবারের সাথে আলম পরিবারে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় আলম বাড়িতে ছিলনা। শহরের একটি মসজিদে জুমআর নামাজ পরে আলম হোসেন তার বোনের বাড়ি থেকে মাকে আনতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গ্রামের দুলুর কলোনীঢর কাছে পৌছামাত্র পূর্ব হতে ওঁৎ পেতে থাকা ভাবী নাজমিনের ভাই ফুয়াদ, চাচা মতিউর, মতিউরের শ্যালক জামিল আহমদ, নাজমিনের চাচাতো ভাই শিপন, শাহজাহান, শরীফসহ কয়েকজন মিলে কলোনীর ভিতর আলমের উপর হামলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয়রা আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেব মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় । লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল করেজ মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় পলিশ ঘটনার সাএথ জড়িত সন্দেহে গ্রামের মতিউর রহমানের স্ত্রী রুমা ও তার শ্যালক জামিল আহমদকে আটক করেছে। আটক জামিলের বাড়ি জকিগঞ্জ থানায় বলে জানা গেছে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সী গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় জানান, আলম খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে । এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd