সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
শাহ অালম, গোয়াইনঘাট :: গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পালকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন নাসিমা আলম নামের এক মহিলা। নাসিমা নিজেকে রাষ্ট্রপতির ভাতিজি হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। রবিবার অবৈধভাবে উপজেলার চেঙ্গেরখাল বালুমহালে বালু উত্তোলনের দায়ে একটি নৌকাকে জরিমানা করা হলে তিনি এ হুমকি দেন।
জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার চেঙ্গেরখাল বালুমহাল গত এক বছর ধরে ইজারাবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে খবর পেয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেখান অভিযানে যায় ভ্রাম্যমান আদালত। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পালের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ময়নুল হোসেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমন চন্দ্র দাশ, সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রাজি উল্যাহ এবং নন্দীরগাও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান আমিরুল।
রবিবার বিকাল ৪টায় ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি ড্রেজার নৌকা আটক করে। আটককৃত ড্রেজার নৌকার মালিক শিপন আহমদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় নাসিমা আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জরিমানা করার কারণ জানতে চান। তার বেপরোয়া আচরণে বিব্রতবোধ করেন ভ্রাম্যমান আদালতের কর্মকর্তারা। তারা জরিমানা আদায় না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, নাসিমা আলম নিজেকে রাষ্ট্রপতির ভাতিজি পরিচয় দিয়ে ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পালসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের সাথে বেপরোয়া আচরণ করেন। তিনি ইউএনওকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। মহিলার আচরণে অনেক অপমানিত হয়েই তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পালের যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd