সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের মৃত্যুপুরী ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারিতে মাটিচাঁপায় সোমবার বিকেল পর্য্যন্ত সুনামগঞ্জের ৫ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’ নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান একই গ্রামের আলী আকবরের ছেলে রুহুল আমিন, আবদুল জলিলের ছেলে আশিক মিয়া, মৃত আম্বর আলীর ছেলে আবদুর রহমান, জামালগঞ্জ উপজেলার কলকতা গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেল মঈন উদ্দিন। রবিবার রাতে মতিউর , রুহুল ও সোমবার বেলা ১১ টায় আশিক, আবদুর রহমান ও বিকেলে
মঈন উদ্দিনের থানা পুলিশ উদ্ধার করে।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিলীপ নাথ রায় সোমবার রাত সোয়া ৮টায় জানান, নিহত শ্রমিক মতিউর ও রুহুল আমিনের ময়না তদন্ত শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই লাশ পরিবারের স্বজনদের নিকট সন্ধায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য তিন শ্রমিকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’ অবৈধভাবে পাথর উক্তোলন ও লাশ গুমের অভিযোগে কোয়ারি মালিক ও এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ কোয়ারির হাজিরডেগনা এলাকায় রবিবার রাতে জেনারেটর চালিয়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে ৯টায় গর্তের মাটি ধ্বসে পাথর উক্তোলনরত কয়েকজন শ্রমিক মারা গেলে সোমবার পর্য্যন্ত দু’দিনে ৫ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। কোয়ারিতে মাটিচাপায় শ্রমিক নিহতের পর লাশগুলো গোপনে সড়িয়ে নিতে কোয়ারী মালিক ,তার লোকজন ও সর্দার অপচেষ্টা করলে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ রবিবার রাতেই লাশ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন সোমবার দু’দফায় আরো তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে এ দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহত হলেও হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।’ পুলিশ জানিয়েছে সোমবার রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের কোয়ারিতে উদ্ধার কাজ চালানোর পর জানা যাবে হতাহতেদর সর্বশেষ সংখ্যা ও সার্বিক অবস্থা।’
স্থানীয় সুত্র জানায়, দারিদ্রতার সুযোগ মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪’শ টাকা মজুরি প্রদানের লোভ দেখিয়ে কয়েকটি প্রভাবশালী পাথর লুটেরা চক্র রাতের আঁধারে হাজারো শ্রমিককে পাথর উক্তোলন কাজে নামায়। এরপর কোয়ারীর মাটিধ্বসে শ্রমিক নিহত হলে কখনো কখনো লাশ গুম করা হয় আবার কখনো কখনো গণমাধ্যম সোচ্ছার হলে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মামলা দায়ের করলেও ক্ষণবিরতি দিয়ে মৃত্যুর মিছিলে আবারো নতুন করে যোগ হচ্ছে শ্রমিকদের লাশের সংখ্যা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd