সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছেন ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক কর্মকর্তারা (স্যাকমো)। কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসক সংকট থাকায় স্যাকমোদের দিয়ে রোগী দেখানো হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় বহির্বিভাগের চিকিৎসকদের কক্ষগুলোর সামনে রোগীদের ভিড়। বহির্বিভাগের চিকিৎসকদের কক্ষে স্যাকমোরাই রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। জরুরি বিভাগে স্যাকমোদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসক না থাকায় তারা উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১শয্যার কম জনবল আছে। ৩১শয্যার জনবল কাঠামো অনুযায়ী ৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কাগজ কলমে কর্মরত আছেন ৬জন। এদের মধ্যে যোগদানের পরই দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেষণে চলে গেছেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সিমান্ত সরকার, মেডিকেল অফিসার হোমিও প্যাথিক ডা. মোছা. নাজমা প্রেষণে চলে গেছেন ঢাকার ফুলবাড়িয়ায়। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন ডা. সামাইয়া সুলতানা ও ডা. মোছা. মাহ্তারেমা ফাতেমা। আবার চিকিৎসক সংকটের কারণে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসেছেন ডা. তৌহিদ।
শুধু চিকিৎসক নন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নকর্মীরও সংকট চলছে। ৫জন পরিচ্ছন্নকর্মীর জায়গায় কাজ করছেন ৪জন। আন্তঃবিভাগের রোগীরা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে থাকে। শৌচাগারগুলোতে এক বার ঢুকলে বাইরে বের হওয়ার পর বমি হওয়ার উপক্রম হয়। মেঝেগুলোও তেমন পরিষ্কার করা হয় না। যেনতেনভাবে ঝাড়ঝাটা দিয়ে চলে যান পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আব্দুর রউফ ও মোছা. শামসাদ জাহান বলেন, চিকিৎসকের অভাবে তাদেরকেই বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তবে জটিল ও জরুরিসহ রোগীদের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সঞ্জয় কুমার গুপ্ত বলেন, বহির্বিভাগে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। এছাড়াও আন্তঃবিভাগে সব সময় ৩০জনের অধিক রোগী চিকিৎসাধীন থাকছেন। তিনিসহ দিনাজপুর সদর হাসপাতাল থেকে প্রেষণে আসা অপর একজনসহ এই দুইজন চিকিৎসক দিয়ে এত রোগী সামাল দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ৭জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে জরুরি ও গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে তাদেরকেই চিকিৎসা দেওয়াসহ আন্তঃবিভাগের রোগীদের চিকিৎসা তারাই দিয়ে থাকছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক সংকট ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত পরিচ্ছন্নতা পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে রোগীদের সচেতনতাও জরুরি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd