সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: নারী নিয়েই বেশীরভাগ কাজ কারবার মহাপ্রতারক আরিয়ানের। আর আরিয়ানের মায়ের স্বপ্ন পুরন করতেই অর্থবিত্ত অর্জনের জন্যই যে কোন ন্যক্কারজনক অনৈতিক কাজকর্ম থেকে অর্থ উপার্জন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেই চলছে। মায়ের স্বপ্ন পুরন করতে মিথিলা নামের জনৈক গৃহিনীকে ব্লক মেইল করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে, নিজে মিথিলাকে বিয়ে করে ব্লাক মেইল শেষে আবার ডিভোর্স দিয়েছে। চলো বাংলাদেশে বেড়াই নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার হাতে খড়ি আরিয়ানের। বেড়ানোর নাম করে ট্যুরিষ্ট গাইডের আবরনে ব্লাকমেইলিং করা নারীদের সর্বস্ব লুটে নেয়া, ভিডিও ধারন করে জীম্মি করে ভোগ করার ঘটনা আরিয়ানের পেশা ও নেশা। আফতাব নগর ও ফকিরাপুল কলোনীগুলোতে বন্ধুমহলে ধান্ধাবাজ প্রতারক হিসাবেই পরিচিত। আরিয়ান নামের এক লম্পট প্রতারকের ফাদে রাজধানীর বহু তরুনী, গৃহিনী তাদের স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ হারিয়ে জীবন সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। অনেকের সংসার ভেঙ্গে গেছে। অনেকেই প্রায়শ্চিত্ত করছে আরিয়ানের সঙ্গি হয়ে ট্যুরে ভুল করার কারনে। অপরাধ বিচিত্রা সহ রাজধানীর আরো অনেক পত্র পত্রিকা এখন সরগরম এই আরিয়ানকে নিয়ে। কে এই আরিয়ান বা সাগর বা সোহাগ অথবা কাওসার। তিনি এক এক জায়গায় এক এক নামেই বা কেন পরিচিত? কি-ইবা তার ব্যবসা বানিজ্য। কি-ইবা তার উদ্দেশ্য। রাজধানীতে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু নিজ এলাকার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ইছাপুরা গ্রামে কেন এই বহুরুপি আরিয়ানকে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এই সকল অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অপরাধ বিচিত্রা অফিসে অনেক টেলিফোন অনেক প্রশ্ন। এমনকি যাদের নাম এবং ছবি অপরাধ বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল তাদেরও অনেকেই অবাক এই কারনে যে আরিয়ানের সাথে তাদের ছবি কেন ছাপা হয়েছিল, আসলেই কি আরিয়ান এমন ধরনের বাজে কেউ। এ সকল প্রশ্নের উত্তর তো অবশ্যই সকল প্রশ্নকারী এবং পাঠকের জানাতে হবে। পাঠকের কৌতুহলকে তো আর ধামাছাপা দেয়া যায় না, পাঠকের এই আগ্রহকে তো আর গলা টিপে হত্যা করা যায় না। আরিয়ানের এমন কাজ কারবারের মাঝে আরিয়ান চরিত্রের এক খলনায়িকা রুগ্ন ও উগ্র মেজাজী, অশ্লীল সন্ত্রাসী আচরনের ভাষা প্রয়োগকারী, সভ্য ভদ্রহীন আচরনের বেমানান লেডির আবির্ভাব আরিয়ানের কাজের পার্টনার সানজিদা। কে এই সানজিদা? কি তার পরিচয়? কেনই বা মিথিলাকে আরিয়ান ডিভোর্স দিতে প্রভাবিত করছে এই সানজিদা? কি তার স্বার্থ? ডিভোর্স নিশ্চিত করতে আরিয়ানের সাথে আইনজীবির চেম্বারে কেন পাহারা দিচ্ছে সানজিদা। কেনইবা সানজিদা নিজের টাকা দিয়ে মিথিলাকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য আইনজীবিকে নিজের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে টাকা দিয়েছে? আদালতে ডিভোর্স দিতে আসা আরিয়ানের ব্যবসায়ীক পার্টনার পরিচয়দানকারী সানজিদার আপত্তিকর আচরনের স্বাক্ষী আইনজীবি সানজিদা। একজন ন্যায় পরায়ন আইনজীবি সানজিদারও পছন্দ হয়নি অনৈতিক আচরনের পার্টনার আরিয়ানের নতুন পার্টনার সানজিদাকে। এছাড়াও ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নিজ বাসার ঠিকানায় যে প্রতারনার ব্যবসা খুলেছেন তাও আমাদের অনুসন্ধানে রয়েছে। তার ব্যবসার আরো রয়েছে চাঞ্চল্যকর কাহিনী। কুয়াকাটার ট্যুর নিয়ে পরবর্তিতে থাকবে আরো বিস্তারিত। তবে আদালতে ডিভোর্স দিতে এসে আরিয়ান ও সানজিদার স্বামী স্ত্রীর মত আচরনের এক নীরব স্বাক্ষী আইনজীবি সানজিদা। সে নিয়ে থাকবে পরের কোন সংখ্যায় বিস্তারিত। অপেক্ষায় থাকুন সে পর্যন্ত, আমাদের সাথেই থাকুন জানতে হলে। চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যায়। সূত্র-অপরাধ বিচিত্রা
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd