সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের মোরশেদ আলম নামে এক শিক্ষকের কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকগনের মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী ও অভিবাবকগনের মাঝেই নয় বিদ্যালয়ে কর্মতর শিক্ষকগনের মাঝেও ক্ষোব রয়েছে। ঐ শিক্ষক মুলত বিদ্যালয়ের গনিতের শিক্ষক। কিন্তু তিনি নিজ দায়িত্বে সুবিধা ভোগ করার জন্য অনেক সময় স্কুলে বিভিন্ন কাজ করেন যা তার ক্ষমতার বাহিরে। চলতি বছরে এই বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪০৩জন এসএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। ঐসব শিক্ষার্থীদের আইসিটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষার ব্যবহারিক খাতা দেখে ৫০মার্ক দেওয়ার নামে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০টাকা করে মোট ২০হাজার ১শত ৫টাকা নিয়ে (২৫শে ফ্রেরুয়ারী পরীক্ষার দিন) নিজেই পকেস্থ করেছেন। অন্যান্য স্কুলে এই বিষয়ে ব্যবহারিকের জন্য কোন টাকা বা খরচের কথা বলে টাকা না নিলেও তিনি একক ভাবে এই কাজ করেছেন। না দিলে ব্যবহারিক র্মাক দিবেন না ও পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেন না প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিবাকগনের মূখে শুনাগেছে। অথছ এই বিষয়ে রয়েছেন নূরে সাবা নামে একজন মহিলা শিক্ষিকা। তিনি কেনই বা এই বিষয়ে ব্যবহারিক খাতা দেখলেন না আর ঐ শিক্ষক বা কেন এত উৎসাহী হয়ে পরীক্ষার ব্যবহারিক খাতা দেখার দায়িত্ব নিলেন। শুধুই কি ২২হাজার ১শত ৫০টাকার জন্যই না অন্য কোন কারন রয়েছে সবার মনে প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। আর এই টাকার বিষয়ে স্কুল কতৃপক্ষ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোন সদস্য কিছুই জানেন না। এছাড়াও এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচার রয়েছে ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী,অভিবাকগন জানান,তার কাছে কোন ছাত্র বা ছাত্রী প্রাইভেট না পড়লে গনিত (তিনি গনিতের শিক্ষক) বিষয়ে পরীক্ষা ফেল করিয়ে দেন। এই কারনে ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষায় ফেল করার ভয়ে বাধ্য হয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। কোন শিক্ষার্থী পরির্বতিতে পরীক্ষা ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয়ে ও অভিবাবকগন নিজের সন্তানের ভবিষত্বের কথা চিন্তা করে কোন কথা বলছে না। এছাড়াও ঐ শিক্ষক এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পাচ্ছে না। আর কোন কারনে তিনি এমন কাজ করলেন তা কেউ বুজতে পারছেন না। ফলে এই সব বিষয় গুলো এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার সবার মাঝে ক্ষোব বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আমির শাহ জানান, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে আইসিটি ঐচিছক বিষয়ের ব্যবহারিক ৫০মার্ক দেওয়ার জন্য শিক্ষক মোরশেদ ৫০টাকা করে ৪০৩শিক্ষার্থীর কাছে নিয়েছে শিক্ষার্থী ও অবিভবাকগন জানিয়েছেন। জানতে পেরে আমি প্রতিবাদ করেছি। অনৈতিক ভাবে টাকা নেওয়া টা খুবেই অন্যায়। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি মাসিক মিটিংয়ে এই বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য। কিন্তু কোন মিটিংয়েই হচ্ছে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গনিতের শিক্ষক মোরশেদ আলম সত্যতা শিকার করে বলেন আমি প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে আইসিটি ঐচিছক বিষয়ের খাতা কিনার জন্য তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেই।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ধানু কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা ।
তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজান বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা তারা নিজেই খাতা কিনতে পারেন মোরশেদ আলমের খাতা কিনার প্রশ্নই আসেনা। তিনি আরও বলেন আমার কাছে এ রকম কোন অভিযোগ আসে নাই তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd