প্রতিযোগিতা মেধার বিকাশ ঘটায়-সিটি মেয়র

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০১৮

সিলেট :: বিতর্কে মানেই যুক্তি, বিজ্ঞানে মুক্তি-স্লোগানে বুধবার সিলেটে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন-সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে সকালে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক উৎসবের সিলেট জেলা পর্ব। দিনভর বিভিন্ন স্কুলের তার্কিকদের যুক্তি-তর্কের লড়াইয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে উৎসবের আয়োজন। এতে টানা তৃতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌবর অর্জন করে সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ফাইনালে তারা জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজকে পরাজিত করে আঞ্চলিক পর্যায়ে উন্নিত হয়।

সিলেট জেলা পর্যায়ে বিজয়ী অগ্রগামী স্কুলের তার্কিকদের মধ্যে ছিলেন সানজিদা ইসলাম শায়লা, তাহমিদা ফাতেমা চৌধরী নিভৃতা ও আদ্রিতা তালুকদার। ফাইনালে সেরা তার্কিক হয়েছেন বিজিত দলের দলনেতা ফাইজা মাহজাবিন। এই দলের অপর দুই তার্কিক ছিলেন সালোয়া মেহেরিন ও মো. মোজাহিদুল ইসলাম। সিলেট জেলা পর্যায়ে বিতর্ক উৎসবে আরও অংশ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল সিলেট; সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়; স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজ; আনন্দ নিকেতন, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও দি এইডেড হাই স্কুল। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মুহূমুহূ হাততালি দিয়ে নিজ নিজ দলকে উৎসাহ ও সমর্থণ দেয়।

সমকাল সিলেট ব্যুরো প্রধান চয়ন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিযোগিতা মেধার বিকাশ ঘটায়। বেশি করে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেদের মেধার পরিচয় দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাকে প্রতিদিন প্রতিযোগিতার সম্মুখিন হতে হয়। যুক্তির মোকাবেলা করতে হয়। তিনি বিতার্কিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেখানে কিছু হারাও সেখানেই কিছু খোঁজ। তা হলেই সাফল্য আসবে। মেয়র এই বিতর্ক উৎসবের মত সিলেট নগরীর সবকটি স্কুলকে নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগের কথা জানান। এতে তিনি সমকালের সহযোগিতা কামনা করেন। ভবিষ্যতে বিতর্কসহ সমকালের অন্যান্য আয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন মেয়র আরিফ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করছি। সমাজে অনেক কুসংস্কার আছে যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের অনেক দেশে কুসংস্কার আছে। কেউ আমরা মঙ্গলগ্রহে যেতে ব্যস্ত কেউ বা আবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় কত লোক হলো, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় ব্যস্ত। নিজেদেরকেই নির্বাচন করতে হবে আমরা কোথায় যাবো।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কবির খান। সুহৃদ জেসমিন সুলতানার সঞ্চালনায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য দেন সুহৃদ সমাবেশ সিলেট জেলার সভাপতি সুব্রত বসু। বক্তৃতা পর্ব শেষে অতিথিরা বিজয়ী ও বিজিত দলের তার্কিকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।

বিতর্কে বিচারক ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, শাহজালাল ইউনির্ভাসিটি ডিবেটিং সোসাইটির (এসইউডিএস) সভাপতি জান্নাতুল তাজরীন ও এসইউডি’র বাংলা বিতর্কের সমন্বয়ক রাইতাহ্ বিনতে আহসান। উৎসবের প্রতিটি বিতর্কের পর বিচারকেরা উভয় দলের তার্কিকদের বক্তব্য আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দেন।

উৎসব আয়োজনে সার্বিক তত্ত্ববাবধানে ছিলেন সমকাল সিলেট ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার মুকিত রহমানী, ফয়সল আহমদ বাবলু, ফটো সাংবাদিক ইউসুফ আলী, সিলেট জেলা সুহৃদ সমাবেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবের হোসেন রানা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক উৎপল দাশ প্রমুখ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..