এমপি রতনের সুপারিশে নীতিমালা লঙ্ঘন করে জলমহাল ইজারা প্রদান

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জলমহাল নীতিমালা লঙ্ঘন করে জামালগঞ্জ উপজেলার বুড়ি ডাকুয়া বিল জলমহাল ইজারা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তাই ওই জলমহালের ইজারা বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের নয়াশুকদেবপুর রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সুন্দর আলী।

জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ৮ মে শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জেলা প্রশাসকের কাছে করা আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জামালগঞ্জ উপজেলার বুড়ি ডাকুয়া বিল জলমহাল ইজারা প্রদানের দরপত্র আহবান করা হয়। জলমহালটি ইজারা নেয়ার জন্য পৃথকভাবে নয়াশুকদেবপুর রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, ব্রাহ্মণগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও শুকদেবপুর মিলন মৎস্যজীবী সমিতি আবেদন করে।

আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) এর নির্দেশনায় আবেদনকৃত সমিতিগুলোর অবস্থান জানার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

১৫ এপ্রিল তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে নয়াশুকদেবপুর রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ১ম নিকটবর্তী, ব্রাহ্মণগাঁও সমিতিকে ২য় ও শুকদেবপুর সমিতিকে ৩য় দূরবর্তী বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু গত ২৪ এপ্রিল উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় নয়াশুকদেবপুর রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে না দিয়ে ২য় নিকটবর্তী ব্রাহ্মণগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে বুড়ি ডাকুয়া বিল জলমহাল ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী নিকটবর্তী সমিতিকে ইজারা প্রদানের নিয়ম থাকলেও তা লঙ্ঘন করে দূরের সমিতিকে ওই জলমহালটি ইজারা দেয়া হয়। আবেদনে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে নয়াশুকদেবপুর রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ইজারা প্রদানের দাবি জানানো হয়।

নয়াশুকদেবপুর রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. সুন্দর আলী বলেন, ‘আমার বিলের কাছের সমিতি। যা তিনজন অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। তবু সংসদ সংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন দূরের সমিতিকে জলমহালটি ইজারা প্রদানের জন্য সুপারিশ করেছেন। তাই আমরা জেলা কমিটির কাছে আপিল করেছি।’

এ ব্যাপারে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘জামালগঞ্জের বুড়ি ডাকুয়া বিল জলমহাল ইজারা প্রদানের বিষয়ে একটি আপিল আবেদন পাওয়া গেছে। আপিলে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে পরবর্তীত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজস্ব শাখা এই বিষয়টি দেখছে।’

তবে সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই বুড়ি ডাকুয়া বিল জলমহাল ইজারা প্রদানের বিষয়ে আমি সুপারিশ করেছি। ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের লোকজন গরিব, প্রকৃত মৎস্যজীবী ও বিলের কাছে তাদের বাড়ি। তাই এই বিলের ইজারা পাওয়া তাদেরই অধিকার।’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..