সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০১৮
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বাজার গুলোতে অনিয়ম কে নিয়মে পরিনত করে দাপটের সাথে ভুয়া বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও কবিরাজরা দীর্ঘ দিন ধরেই স্থায়ী ভাবে অবস্থান করছে। ফলে এদের সংখ্যা দিন যতই যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি বাজারে ১০- ৩০টি ফামেসী রয়েছে অথচ নেই তাদের কোন নুন্যতম এসএসসি পাশ ও ফার্মাসিষ্টের প্রশিক্ষন। ৭০ভাগেই রয়েছে ৬-৮শ্রেনী পাশ। প্রশাসন এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে রয়েছে নিরব। ফলে তারা সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব্য ফাকিঁ দিয়ে প্রত্যান্ত গ্রামের মানুষের মাঝে ফাঁদ পেতে স্থায়ী ভাবে রয়েছে বহাল তবিয়তে যেন দেখার কেউ নেই।
একাধিক সূত্রে জানাযায়,সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার তাহিরপুর,মধ্যনগড়,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা,দিরাই,শাল্লা,বিশ্বাম্ভরপুরসহ প্রত্যান্ত অঞ্চলের সাথে এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সুচিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে রয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক,জনবল,রোগ নির্নয়ের উপকরনসহ নানান সংকট। যার ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলো এক প্রকার লাইফ সার্পোটেই আছে।
জেলা ও উপজেলা সাথে প্রত্যন্ত গ্রামে শুষ্ক মৌসুমে ভাঙ্গা,জোরাতালি সড়ক ও বর্ষায় একমাত্র পরিবহন ব্যবস্থা নৌকা ছাড়া যাতায়তের ভাল সুযোগ সুবিধা নেই। ফলে অতিরিক্ত ভিজিটের কারনে উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকার শিশু,বৃদ্ধ,যুবক,গর্ভভতি মহিলারা উপজেলা সদরে ও রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের কাছে না এসে তাদের পাশ্ববর্তী বাজারের নাম সর্বস্ব হাতুরে ডাক্তার,কবিরাজ ও ফার্মেসীর শরনাপন্ন হচ্ছে। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে বেশী টাকা মোনাফার লোভে জেলার প্রতিটি বাজারে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে প্রায় পাচঁ হাজারের বেশী হারবাল,হাতুরে ডাক্তার,কবিরাজ,লাইসেন্স বিহীন ফামেসী ও বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞতা সমপন্ন ডাক্তার। এমবিবিএস ছাড়া আর কারো ব্যবস্থা পত্রে কিংবা সাইন বোর্ডে ডাক্তার লিখা আইনগত নিয়ম না থাকলেও ফামেসীতেই বসেই বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞতা ডাক্তারের সাইন র্বোড ঝুলিয়ে ও ফামেসীতে নিন্ম মানের নাম সর্বস্ব কোম্পানীর উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিক ঔষধ রেখে ডাক্তারী ফলাচ্ছে ইচ্ছে মত সুযোগ বুজে ফামের্সীর মালিক ও কর্মচারীরাই। তাহিরপুর উপজেলার নতুন বাজারে ৮ম শ্রেনী পাশ না করেই ফামের্সী চালাচ্ছে আর ডাক্তারী করছে একাধিক ব্যাক্তি। এদের কয়েকবার জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। যার ফলে বহাল তবিয়তে আছে।
আরো জানাযায়,ফার্মেসীতে রয়েছে মেয়াদ উত্তির্ন ও ভারতীয় বিভিন্ন রখমের ঔষধ। ফলে ঐসব ভুয়া বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক,কবিরাজের ফাঁদে পড়ে জীবনের যুকিসহ কষ্টাজিত অর্থের অপচয়ের শিকার হচ্ছে হাওরবাসী। অভিযোগ রয়েছে-ড্রাগ সুপারগন যারা যাচাই বাচাই করার জন্য আসেন তারা সঠিক দায়িত্ব পালন না করে তাদের সাথে অর্থের লেনদেন করছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ না থাকায় হাওরাঞ্চলে ভূয়া ডাক্তার,ফামের্সী ও কবিরাজের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর প্রত্যান্ত গ্রামের মানুষের মাঝে ফাঁদ পেতে স্থায়ী ভাবে রয়েছে বহাল তবিয়তে।
শফিকুল,রফিকুল,শহিদ,জামানসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারের ব্যবসায়ী ও জেলার সচেতন মহল মনে করেন-জনসার্থে জেলায় লাইসেন্স বিহীন ফামেসী ও ভুয়া ডাক্তারদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া খুবেই প্রয়োজন। তারা বিভিন্ন নাম সর্বস্ব কোম্পানীর ঔষধ বিক্রি করছে। অনেকের দোকানে মেয়াদ উত্তির্ন ঔষধ আছে আর বিক্রিও করছে। এতে করে অসহায় প্রত্যন্ত এলাকার চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন প্রতারনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন-প্রতিটি বাজারে ফার্মেসী আছে জনসাধারনের উপকারের জন্য কিন্তু ফার্মেসীর ড্্রাগ লাইসেন্স আছে কি না ও তাদের ফার্মাসিষ্টের প্রশিক্ষন আছে কি না তা তদারকী করা প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ জেলা সির্ভিল সার্জন আশুতুষ দাস জানান-জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভুয়া ডাক্তার,কবিরাজ ড্রাগলাইন্সেস বিহীন দোকানীদের বিরোদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। যারা ড্রাগলাইন্সেস না করেই ফার্মেসীর ব্যবসা করছে তাদের বিরোদ্ধে ড্রাগ যাতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলব। ভুয়া ডাক্তারের বিরোদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd