ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকা দক্ষিণ সুরমার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের পেছনের প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক দখলমুক্ত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
সোমবার সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার সড়কের দু’পাশে দখল করে নেয়া শতাধিক অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অবশ্য এর আগে সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গত সপ্তাহে নিজে উপস্থিত থেকে ও সিসিকের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হয়েছে সড়কের দু’পাশ থেকে কাঠ ও অবৈধ স্থাপনা স্বেচ্ছায় অপসারনের। সিসিকের এমন নির্দেশ না মানায় সোমবার চালানো হয় অভিযান।
অভিযানে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের পেছনের প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক কাঠ ও সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড অপসারন করা হয়। গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে রাস্থা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত সিসিক মেয়রের উপস্থিতিতে চালানো হয় অভিযান।
পরে ক্বীনব্রীজ থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়কের দু’পাশ দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
মেয়র বলেন, ‘দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় থেকে কিছু অসাধু লোক রেলওয়ের এই সড়কটি দখল করে কাঠ ব্যবসা ও অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড গড়ে তোলেছিল। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বারবার কাঠ ও অবৈধ স্থাপনা অপসারনের অনুরোধ জানানো হলেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। যার কারনে অভিযান চালানো হয়েছে’।
তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি যান ও মানুষের চলাচলের অনুপযোগী করে রাখা হয়েছিল। যার কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানিয় নছিবা খাতুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা বিকল্প পথ হিসেবে রেল লাইনকে ব্যবহার করে আসছেন। মেয়র জানান, সড়কের দু’পাশ উদ্ধারের পর সড়ক সংস্কার করে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে উপযুক্ত করে তোলা হবে।
এসময় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কদমতলী, বাবনা মোড় এলাকা সহ নগরীর প্রতিটি সড়ক, ছড়া, খাল ও ড্রেনের উপর অবৈধভাবে নির্মিত সকল স্থাপনা নীজ উদ্যোগে অপসারনের অনুরোধ জানান।
অভিযানে সিসিকে প্রধান নির্বাহী এ জেড নূরুল হক, কাউন্সিলর মো. তৌফিক বক্স, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেনসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা, বিপূল সংখ্যক পুলিশ ও পরিচন্নকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।