এস এম রাজু :: প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের জনসাধারণের চরম ভুগান্তীর নাম সিলেট তামাবিল মহাসড়ক। খানা-খন্দে ভরা মামার বাজারের এই রাস্তার সমান্য বৃষ্টি হলেই জনসাধারণের চলাচল একেবারেই অনপযোগী হয়ে পরে।এতে চরম দুর্ভোগের শিকার সাধারণ পথচারীরা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যত্র-তত্র ভাড়ী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তার এমন বেহালদশা হচ্ছে। বর্তমানে তামাবিল মহাসড়কের মামার বাজার থেকে নলজুরী পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিনের মেরামত ও সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গিয়ে মারাতœক আকার ধারণ করেছে।প্রচন্ড ঝুকি নিয়ে যাএী বাহী বাস,মালবাহী ট্রাক, লেগুনা, ইমা, হিউম্যানহুলারসহ অন্যন্যা যানবহন চলাচল করছে।গত কয়েক দিনের প্রচন্ড বৃষ্টিতে রাস্তার মাটি সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে ্ এই রাস্তায় সকল প্রকার যানবহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে । মহাসড়কের বেহালদশার কারণে সবচেয়ে বেশী কষ্ট করতে হয় শ্রমিকদের ।অনেক সময় রাস্তার মাঝে গাড়ী ডেবে গেলে সারা রাত জেগে শ্রমিকদের তা উঠাতে হয়। অপর দিকে রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যাএীবাহী বাস মালিকরা।একটি বাস মামার বাজার থেকে ছেড়ে জৈন্তাপুরে পৌছাতে সময় লাগত মাত্র ২০ মিনিট অথচ রাস্তার মধ্যে বড়-বড় গর্ত থাকার কারণে জৈন্তাপুরে পৌছাতে সময় লাগে প্রায় ১ঘন্টারও উপরে ।অনেক সময় রাস্তার মধ্যে মালবাহী ট্রাক ও বাস ডেবে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয় এতে করে যাএীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।কখনো কখনো গাড়ীর চাকা ছিটকে রাস্তার কাদাঁ মাটি পথচারীদের উপরে গিয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ বলেন,সিলেট তামাবিল মহা-সড়কের কাজ অতিদ্রুত সম্পূর্ন হবে। ইতিমধ্যে রাস্তার কাজের জন্য বড় ধরনের বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে।পর্যটন এলাকা সিলেট তামাবিল মহা-সড়কের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি অতিদ্রুত নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী ।
Sharing is caring!