সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউপি’র ভিজিএফ’র চাউল পাচারের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলম চৌধুরী তোফায়েলসহ ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরোধ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে চারিকাটা ইউপি সচিব দুখু মহাপাত্র (৪০) কে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ১৭ মে মামলা দায়ের করেন যাহার নং-০৯।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- ৩নং চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বাউরভাগ দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহআলম চৌধুরী ওরফে তোফায়েল (৪৫), কামরাঙ্গীখেল দক্ষিণ গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে (৮নং ওয়ার্ডের সদস্য) জমসেদ আলী (৫৬), লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে (৬নং ওয়ার্ডের সদস্য) আবুল কাশেম মারুফ (৪৪), রামপ্রসাদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে (৪নং ওয়ার্ডের সদস্য) মো. জামাল উদ্দিন (৪৩), নয়াখেল দক্ষিণ গ্রামের মো. আব্দুস সালামের ছেলে (৫নং ওয়ার্ডের সদস্য) মামুনুর রশিদ (৩৮), বাউরভাগ গ্রামের মৃত রশিদ আলীর ছেলে (৩নং ওয়ার্ডের সদস্য) নুরুল আমিন (৪৫), লালাখালগ্রান্ড গ্রামের মৃত বিজয় বড়াইক এর ছেলে (৭নং ওয়ার্ডের সদস্য) রাজেন্দ্র বড়াইক (৬০), দরবস্ত ইউনিয়নের চাল্লাইন গ্রামের মৃত মুহিবুল হকের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (৫৭), রামপ্রসাদ পশ্চিম গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে জিয়াউল হক (৬২), গাড়ী চালক এখলাছুর রহমান (২৮)।
মামলা সূত্রে জানাযায়- ১৫মে দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ হতে সরকারি বিশেষ বিজিএফ’র ৩৩ বস্তা চাউল গাড়ীযোগে পাঁচার কালে সরুখেল এলাকায় স্থানীয় জনতা আটক করে। বিষয়টি তৎক্ষনীক ভাবে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়। চাউল পাচারের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এলাকাবাসী পাঁচার হওয়া বিজিএফের ৩৩বস্তা চাউল সহ ৪জন পাচারকারীকে আইনের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় গোটা উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। সচেতন ইউনিয়নবাসী বিজিএফ’র চাউল পাঁচারের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব সহ জড়িতেরদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ খাঁন মো. মাইনুল জাকির বলেন- প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরোধ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে আমরা মামলা হিসাবে গ্রহন করি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্বতন কর্মপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd