সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০১৮
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কয়েকজন যুবক দল বেঁধে ঘরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় রবিবার (৩ মে) ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউসুফ।
এঘটনায় রোববার (৩ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল কুলাউড়া থানায় আসলে মেয়ের স্বজনেরাসহ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা এসপির কাছে মেয়েটিকে দ্রুত উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এসপি এ ব্যাপারে তাঁদের আশ্বস্ত করেন। এর আগে গত শনিবার (২ জুন) রাতে কুলাউড়া থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবার।
মামলার এজাহারে পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। বেশ কিছু দিন ধরে রুবেল মিয়া (২৮) নামের প্রতিবেশী যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। মেয়েটির স্বজনেরা একাধিকবার রুবেলের পরিবারের সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাননি। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মেয়ের ভাইয়ের সঙ্গে রুবেলের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মেয়ের স্বজনেরা স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে বিচার চান।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার (২ মে) রাত আটটার দিকে রুবেল ও তাঁর ভাই জুয়েলের নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন যুবক দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে মেয়েটির ঘরে ঢোকেন। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরে শুধু মেয়ে ও তার মা ছিলেন। একপর্যায়ে ওই যুবকেরা মেয়েটির মুখে কাপড় গুঁজে জোর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে একটি অটোরিকশায় তুলে চলে যান। এ সময় মা বাধা দিলে তাঁকে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে মেয়ের স্বজনেরা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
ওই দিন রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রুবেল, রুবেলের ছোট ভাই জুয়েল মিয়া (২৫), তাঁদের মা রাবেয়া বেগম (৪২), বোন সীমা বেগম (২৬) ও একই এলাকার বাসিন্দা আছকর আলীকে (৩২) আসামি করে মামলা করেন।
দুপুরে মেয়েটির বাবা এ প্রতিবেদককে বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে রুবেলের ঝগড়ার বিষয়টি সুরাহার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর ১ জুন রাত নয়টায় পৌরসভা কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে হাজির থাকতে বলেন। এ কারণে ওই দিন রাতে পৌরসভা কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। এরই মধ্যে মেয়েকে অপহরণ করা হয়।
কুলাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরবিন্দ ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য মিত্র বলেন, দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম মুসা বলেন, ‘অপহরণের মামলা হয়েছে। আমরা ভিকটিমকে উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।’
ওসি বলেন, রুবেল বখাটে প্রকৃতির। তাঁর বিরুদ্ধে চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে রুবেল ও জুয়েলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বেলা তিনটার দিকে বাড়িতে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
এলাকাবাসী বলেন, ঘটনার পর দিন থেকে তাঁদের পরিবারের কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd