সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে গা ঢাকা দিয়েছে অনেক মাদক ব্যবসায়ী। তবে পুলিশ, র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে মাদক কমেছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি তাদের ব্যবসা। পুরনো রুট গুলো ছেড়ে এখন নতুন রুট দিয়ে মাদক আনা নেয়া করছে ব্যবসায়ীরা।
শিবগঞ্জ থানার যে সমস্ত এলাকাগুলি মাদকের রুট বলে পরিচিত ছিল সে সমস্ত এলাকা ঘুরে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মনাকষা, বিনোদপুর, পাকা, উজিরপুর, দূর্লভপুর, রানীহাট্টি, বৃহত্তর দিয়াড় এলাকা তেলকুপি, শাহাবাজপুর, জমিনপুর ও ঠুঠাপাড়ায় প্রায় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ছিল। তাদের মধ্যে মাদক বিক্রি ও সেবনও চলত। এই রুটগুলো কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও আবার সচল হতে শুরু করেছে।
আর নতুনভাবে সীমান্তবর্তী এলাকার আম বাগানগুলোর ভিতরে অতি গোপনে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন চলছে বলে একাধিক গোপন সূত্রে জানা গেছে। যার ফলে মাদক সিন্ডিকেট পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েনি। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। এমনকি ব্যক্তি বদল করেও মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতারা এখন নিরাপদ রুট হিসেবে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার আম বাগানগুলো বেছে নিয়েছে। যেমন- মনাকষার খড়িয়াল গ্রামের চৌধুরীর আম বাগান ও একজন সাবেক ইউপি সদস্যর বাড়ির পেছনের আম বাগান, খড়িয়াল শেখটোলায় ও কলোনীতে এখন রাতের আঁধারে নিয়মিত মাদকের বাজার বসছে।
এছাড়াও বিনোদপুর খাসেরহাট বাজারের মাদ্রাসা প্রাঙ্গনের আম বাগান ও বাস স্ট্যান্ডের পাশের আম বাগান। এছাড়াও শ্যামপুর চামাবাজারের উত্তর-দক্ষিণ প্রান্তের আম বাগান এবং হাজি মমতাজ মিঞা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গনেও গোপনে চলছে মাদকের ব্যবসা।
সেখানে তারা কেউ বাগানের মালিক, কেউ পাহারাদার, কেউ দফাদার, কেউ আম বাগান ক্রেতা সেজে আম বাগানে রাতদিন অবস্থান করছে। কেউ কেউ দিনের বেলা কিছুটা বের হলেও রাতে আবারো গা ঢাকা দিচ্ছে। তবে সেখান থেকেই তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বড় বড় মাদকের সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের নাম ও পৃষ্টপোষকদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে তারা অব্যাহতি পাওয়ার জন্য পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলামের নির্দেশে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আগের তুলনায় শিবগঞ্জে মাদকের ছড়াছড়ি কমে এসেছে। মাদক জিরো টলারেন্সে নেমে না আসা পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।’
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টিএম মোজহিদুল ইসলাম বিপিএম বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘অভিযানে এ পর্যন্ত শুধু মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মাদক মামলার পলাতক তিনজন আসামির বাড়ির আসবাবপত্র ক্রোক করা হয়েছে।’
‘কোন সুনির্দিষ্ট সময় নেই। যতদিন পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকমুক্ত না হবে ততদিন আমাদের অভিযান চলবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd