নগরীতে তীব্র যানজট নৈপথ্যে অবৈধ পার্কিং

প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৮

এম. শামীম আহমেদ :: সিলেট নগরীতে হকার উচ্ছেদের পর যানজটের নেপথ্যে রয়েছে অবৈধ পার্কিং। প্রতিটি মার্কেট ও দোকানের সামনে অবৈধভাবে পার্কিং করায় গাড়ি চলাচলের রাস্তা সরো হয়ে যায়। যার ধরুন সারাদিন যানজট লেগে থাকে। সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের খুশী পরিবারের সবার মাঝে বিলিযে দিতে কেনাকাটায় ব্যস্ত। ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততম নগরী যেন আরেকটু বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যস্ততার মাঝেও রেশ নেই নগরবাসীর। লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। নগরের একটি প্রধান সমস্যা অন্যতম কারণ হলো অবৈধ পার্কিং। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বা রাজপথে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে দুঃসহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় নগরবাসী ব্যস্ত সময়েও রাস্তা দখল করে গাড়ি পার্কিং করে। এতে যানজট দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।

নগর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ নগরীতে ঘন ঘন হকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর রাস্তাঘাট হকারমুক্ত করেছে। যানজটে নিরসনে সিসিক’র এ উদ্যোগকে জনসাধারণ সাধুবাদ জানান। তবে অবৈধ পার্কিং নিয়ে সিসিক কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, সিএনজি অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। অধিকাংশ মার্কেটে গাড়ি পার্কিং সুবিধা না থাকায় পুরো নগরজুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। জিন্দাবাজারে ওয়াহিদ ভিউ, ব্লু-ওয়াটার, ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড মার্কেটে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ মার্কেটে এমন ব্যবস্থা নেই। নগরীর অনেক বিপনীবিতানে নেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। তাই ঈদের বাজারে ক্রেতারা আসলে রাস্তার মধ্যেই গাড়ি পার্কিং করতে হয়।

গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় মার্কেটের সামনে অবৈধ পার্কিং। দেখলে মনে হবে এটা ফুটপাত নয়, যেন মোটর সাইকেল শো-রুম। খুব সুন্দর করে ধারাবাহিকভাবে সুসজ্জিত করে মোটর সাইকেল রাখা হয়েছে।

জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশন, ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট, কাজী ম্যানশন, আম্বরখানা পয়েন্টসহ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে এমন চিত্র চোখে পড়ে। অর্ধেক রাস্তা জুড়ে রাখা হয়েছে মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার। যার ধরুন রাস্তা ছোট হয়ে জানজট সৃষ্টি হয়। নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে দেখা যায় সিএনজি পার্কিং করা হয়েছে। চালকরা যাত্রী ডাকছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ট্রাফিক পুলিশ, কিছুই বলছে না অটোরিকশা চালকদের। অটোরিক্সা চালকরা যেন ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেই গাড়ি পার্কিং করেছেন। নগরীর রিকাবীবাজার কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণেও দেখা যায় যায় অবৈধ মোটর সাইকেল পার্কিং। সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে। যেন মোটর সাইকেল মেলা চলছে। মেলাতে একজন আসছেন গাড়ি বের করছেন অন্যজন এসে আবার আরেকটি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। এর পাশেই নগরীর চঞ্চল রোডে দেখা যায় অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। যেখানে যাত্রী উঠানামা সহ যাত্রীদের ডাকা হয়।

পুরো নগরী ঘুরে দেখা গেলো, রাস্তাজুড়ে অবৈধভাবে পার্ক করা গাড়ির সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। যে মুক্ত ফুটপাতের জন্য নগরীর সব হকারকে উচ্ছেদ করা হলো সেই ফুটপাত জুড়ে মোটর সাইকেল পার্কিং করা রয়েছে। হকার না থাকাতে আরো সুবিধাই হয়েছে তাদের। আর পথচারীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। তাই অবৈধ পার্কিং বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন নগরবাসী।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2018
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..