সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট তামাবিল অটোরিক্সা (সিএনজি) ফোরষ্ট্রোক ৭০৭’ শাখার সভাপতি লিটনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে । জানা গেছে, বহুল উপেক্ষিত দীর্ঘ প্রায় আটবছর পর তামাবিল শাখার নির্বাচন অনূষ্ঠিত হয় বিগত ১৩-০৫-২০১৮ ইং-রোববার । সেই নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হন লিটন । কিন্তু পিছু ছাড়েনি তার অনিয়ম দুর্নীতি । তিনি সভাপতি পদ জয়লাভ করে মাসখানিক সময় অতিবাহিত হতে না হতেই শুরু করেন জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার । তাছাড়া পরিবহন শ্রমিকদের সাথেও জড়িয়ে পড়েছেন ঝগড়া-বিবাদ ও অসাধাচরনে । এতেকরে পুরো শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিগত ১৯-০৫-২০১৮ইং-তারিখে সিলেট জেলা অটোরিক্সা (সিএনজি) ফোরষ্ট্রোক ৭০৭’শাখার বিতর্কিত সভাপতি জাকারিয়ার নির্দেশক্রমে শপত বাক্য গ্রহণ করে সিলেট তামাবিল শাখার নব-নির্বাচিত কমিঠি । সেই মোতাবেক সিলেট জেলা শাখা থেকে অডিট বই (রশিদ) সংগ্রহ করেন নব-নির্বাচিত কমিঠির সভাপতি লিটন । শুরু হয় জাল-জালিয়াতির কারিসমা । সেই অডিট বই (রশিদ’র) সাথে গড়মিল করে নিজের তৈরী অডিট বই (রশিদ) বিলি করেন তামাবিল শাখার ষ্ট্যান্ডে ষ্ট্যান্ডে । অবশেষে বিষয়টি ১৩ জুন বুধবার শ্রমিকদের নিকট ধরা পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এবং চারটি অডিট বই (রশিদ) জব্দ করেন মেজরটিলা ষ্ট্যান্ড শাখাসহ একাধিক শাখা ষ্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকেরা । পরবর্তীতে জব্দকৃত অডিটবই তামাবিল শাখার নব-নির্বাচিত কমিঠির সাধারন সম্পাদক মখলিছ’র নিকট প্রেরণ করা হয় । পাশাপাশি বিষয়টি সিলেট জেলা ৭০৭’ শাখার সভাপতিকে অবহিত করেন শ্রমিকেরা । এনিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে । যেকোন সময় নব-নির্বাচিত সভাপতি লিটনের সাথে শ্রমিকদের বড় ধরনের সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ।
এদিকে শ্রমিকদের একটি সূত্র জানায়,লিটন জয়ী লাভ হওয়ারপর তামাবিল শাখার অর্ন্তগত বিভিন্ন শাখা কমিঠিকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন । এবং অশালিন কথা বলে কৌশল কাটিয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্থ্য রয়েছেন । অনেক সময় নব-নির্বাচিত কমিঠির সদস্যদেরও বিনা অনুমতিতে যা ইচ্ছে তা করে বেড়াচ্ছেন । এমনটি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নব-নির্বাচিত কমিঠির একাধিক সদস্য । তারা প্রতিবেদকের নিকট জানায় লিটন নিজেরমত করে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । প্রায় সময় সবার অগোচরে কিছু নেতা-কর্তার সাথে মিলিত হয়ে সাধারন শ্রমিকদের হয়রানি,প্রশাসন দিয়ে গাড়ি আটকের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে । এবং একত্রিত থাকা তামাবিল শাখার ষ্ট্যান্ডগুলোর পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বিরুধ সৃষ্টি করার জন্য সে অপচেষ্টা পরিচালনা করছে । তারা আরো জানান,লিটন তামাবিল শাখার সভাপতি পদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে মাদকাসক্ত এক ব্যক্তিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে গত সপ্তাহে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে আনেন । এর আগে তামাবিল শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বের রাত্রে কৌশল কাটিয়ে নিজের দু’সন্তানকে মেজরটিলা বাজার থেকে অপহরণের অভিযোগ করেন স্থানীয়দের নিকট । পরবর্তীতে স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার এক আত্মীয় এ দু’ সন্তানকে একটি সিএনজি (ফোরষ্ট্রোক) গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গেছেন । আর সেই গাড়ির চাবি থেকে যায় লিটনের হাতে । অবশেষে জজ মিয়া নাটকের অবসান ঘটে হৈ,হুল্লুর হট্রগোলে’ ক্ষমা প্রার্থী হন লিটন ! আর এত বড় ঘটনার পরও মেজরটিলাবাসী থাকে ক্ষমা করে দেন আল্ল্যাহ’র হস্তে যা ক্ষমার অযোগ্য । এবিষয়ে লিটনের অপর দু’ প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মাসুক মিয়া ও রফিক মিয়া তখন ক্ষুব্ধ ছিলেন কারন তাদেরকে চক্রান্তমূলক অপহরণ মামলার জজ মিয়া নাটক সাজানোর অপচেষ্টা করেছিল লিটন । যে হেতু পরদিন নির্বাচন,আগের রাত্রে ঘঁটনা । এনিয়েও তুমূল বির্তকের সৃষ্টি হয় তামাবিল শাখায় যা আজও এ গল্পের স্বাক্ষি হয়ে রয়েছেন শালিসিগণ । একদিকে মাদকাসক্তদের শেল্টার দিচ্ছে সভাপতি লিটন অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে দৌড়াত্ব সৃষ্টি করতে জাল বিস্তার করছে সে।
সভাপতি লিটনের বিষয়ে জানতে তামাবিল শাখার সেক্রেটারী মখলিছের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নির্বাচনের আগে ও পরে কিছু কিছু অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে যা স্থানীয়ভাবে বিচারের মাধ্যমে শেষ করে দেয়া হয়েছে । তবে আজকের ঘটনা সম্পন্ন ভিন্ন । কারন শ্রমিকেরা নিজে চারটি জালিয়াতি রশিদ বই জব্দ করে আমার নিকট পাঠিয়েছে আমি সেগুলো রেখেছি এবং জেলা কমিঠিকে অবহিত করেছি এনিয়ে পরবর্তীতে জেলা কমিঠিসহ সিদ্ধান্ত গৃহীত করা হবে বলে জানান তিনি । এসময় তিনি আরো জানান এ চারটি রশিদ বই চিনিয়ে নিতে তাকেও সভাপতি লিটন বিভিন্ন মারফতে হুমকি-দমকি দিচ্ছে ।
এ ব্যাপারে সিলেট তামাবিল ৭০৭’শাখার সভাপতি লিটনের সাথে মুটোয়ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এসব ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেননা বলে জানান এবং বলেন আমার সংগঠনের রশিদ আমি বিলি করেছি এখানে আমার কোন হাত নেই বা আমার কোন ফায়দা নেই !
সূত্র – সি এন বাংলাদেশ
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd