বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘ভাগনা কয়েছ’ হিসেবে পরিচিত মো. কয়েছকে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের আল-হেরা মার্কেটস্থ ‘বিডি আনলকার এন্ড ট্রেনিং সেন্টার’র পরিচালক ও উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের পূর্ব বরুনী গ্রামের জিলু মিয়ার পুত্র। বুধবার (২০জুন) রাত ৮টায় থানার এএসআই পরিমল’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে কয়েছকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, কয়েছকে গ্রেফতারের পর রাত ৯টায় থানা ফটকের সম্মুখে মামলার বাদি সিদ্দিকুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়েছে কয়েছের সহযোগী দুর্বৃত্তরা। এসময় স্থানীয় লোকজন সিদ্দিকুর রহমানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
জানা গেছে, পারিবারিক ও সামাজিক পূর্ব পরিচয়ে অভিযুক্ত মো. কয়েছের সাথে সুসম্পর্ক হয় উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের বুরকী গ্রামের রুজিউর রহমানের পুত্র সিদ্দিকুর রহমানের। এই সুবাদে তার (সিদ্দিক) কাছ থেকে ৩লাখ টাকা ঋণ নেন মো. কয়েছে। পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য তাগাদা দিলে গত ১১ এপ্রিল সিদ্দিকুর রহমানকে নিজের স্বাক্ষরিত পুবালী ব্যাংক লিমিটেড বিশ্বনাথ শাখায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একাউন্ড এর তিন লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন কয়েছ। এরপর বাদি চেকখানা নগদায়নের জন্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বিশ্বনাথ শাখায় জমা করিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল ওই চেকখানা ডিজঅনার করেন। অতঃপর বাদী সিদ্দিকুর বিবাদী কয়েছের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে কোন সদোত্তর না দেওয়ায় বাদী তার নিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে গত ১৯এপ্রিল পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য ৩০দিনের সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু এই ৩০দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় এনআই এক্ট এর ১৩৮ ধারায় মো. কয়েছ এর বিরুদ্ধে গত ২৩ মে সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন সিদ্দিকুর রহমান। সি.আর মামলা নং ১৬৫/২০১৮ইং। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত কয়েছের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করেন আদালত।
Sharing is caring!