দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরীর ২য় স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা বলেন, বর্তমানে চেয়ারম্যান তাকে আপস করে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এতে তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও তাকে হুমকির বিচার দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে মাহমুদা সুলতানা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার চৌধুরী আমার বাবার আর্থিক অসচ্ছলতার সুযোগ নিয়ে তার প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি গোপন রেখে চার মাসে আগে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে আমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু আমাকে তার বাড়িতে না নিয়ে উল্টো বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো। একপর্যায়ে বিয়ের মাত্র দুই মাসের মধ্যে আমাকে এককভাবে তালাক দেন এবং দুইজন ইউপি সদস্যের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার হুমকি দেন।
তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইকবাল বাহার চৌধুরী বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তাই এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি আদালতের মাধমে আইনের আশ্রয় নিয়েছি এবং এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং আইনগতভাবে সমাধানের আশ্বাসও দেন।