সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০১৮
ডেস্ক নিউজ :: সকাল ১১টা। নগরীর ব্যবস্থতম চৌহাট্টা পয়েন্ট। নগরীর নয়াসড়কের দিক থেকে রিকাবীবাজারের যাচ্ছিল একটি সিএনজি অটোরিক্সা। সিগনাল দিলেন কর্তব্যরত ট্রাফিকের এক নারী কন্সটেবল। এগিয়ে গেলেন এক এএসআই। কাজপত্র দেখলেন, সবই ঠিক আছে তার পরও বললেন মামলা দিতে হবে। দামদর শুরু হলো সিএনজি চালকের সাথে। এর পরই পাশে থাকা এক লোকের (টুকাই) মাধ্যমে ২০০ টাকায় রফাদফা হলো। মুক্তি পেলো সিএনজি চালক।
বলছিলাম ট্রাফিক পুলিশের এএসআই জহুরুলের কথা। দেখতে বেশ ধার্মিক মনে হলেও বাস্তবে এর পুরোটাই উল্টো। তার ডিউটি চলাকালে চৌহাট্টা পয়েন্ট দিয়ে যেসব চালক যাতায়াত করেন তাদের অনেককেই এরকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।
সিএনজি চালক মকবুল আলী (ছদ্মনাম) জানালের ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, আমার কাগজপত্র সবই ঠিক ছিলো। তার পরও আমাকে বললেন পোশাক পরিনি কেন (ড্রাইভারের ইউনিফর্ম)? মামলা দিতে হবে। পরে আর কি করব ২০০ টাকায় মামলা শেষ করলাম। কি বলব ভাই। ড্রাইভার হওয়াটাই মনে হয় বড় অপরাধ। স্যাররা আমাদেরকে মানুষই মনে করেনা।
এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে। নগরীর বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত সড়কটি একমূখি। তার পরও এই সড়কে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। চৌহাট্টা থকে উল্টোদিকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে এর উল্টো। অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে চৌহাট্টা দিয়ে উল্টো পথে অবাধে যাচ্ছে গাড়ি। কিন্তু সুবিধা না দিলে রোগীও আটকে যাচ্ছে চৌহাট্টা পয়েন্টে। এমন দৃশ্যও যে কোরো চোখে পড়বে।
নগরী পায়রা এলাকায় আব্দুর রহমান। তার অন্তসত্তা স্ত্রীকে নিয়ে সিএনজি যোগে চৌহাট্টা মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পয়েন্টে আটকে যায় তার গাড়ি। তিনি এএসআই জরুহুলকে বিষয়টি বুঝাতে চাইল তাকে অপদস্ত হতে হয়। আর ঠিক একই সময় অন্য একটি সিএনজি অটোরিক্সাই যায় উল্টো পথে। আব্দুর রহমান বাধ্য হয়ে অন্তসত্তা স্ত্রীকে নিয়ে দাড়িয়াপাড়া-জিন্দাবাজার পয়েন্ট হয়ে যান মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে।
আব্দুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, অসুস্থ রোগী নিয়ে ১০০গজও যেতে দিলো না পুলিশ। কিন্তু অন্য গাড়ি ঠিকই যাচ্ছে। আমাদের দেশে ভাই সবই সম্ভব।
সরেজমিন দেখা যায়, পয়েন্টেই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের টোকাই শ্রেণীর কিছু নিজস্ব লোক। কোন গাড়ি আটকানোর পরই তারা দামদর শুরু করে চালকদের সাথে রফাদফা হওয়ার পর গাড়ির কাগজপত্র ফেরত দেয়া হয়। আর যারাই উল্টো পথে যেতে চান তারাও স্মরণাপন্ন হন তাদের। আর চৌহাট্টা পয়েন্টে দিয়ে উল্টো পথে গাড়ি প্রবেশের ফলে জিন্দাবাজার এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক হলেও মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের কারনেই এর সুফল মিলছেনা।
সচেতন মহল মনে করছেন, সরকার যেখানে পুলিশ বিভাগের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা প্রচলিত বদনাম থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। সেখানে নিম্ন শ্রেণীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারনে পুলিশের বদনাম আর পিছু ছাড়ছেনা।
তবে এএসআই জহুরুল বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd