সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০১৮
ডেস্ক নিউজ :: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের কালাইমাঝি কান্দি গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী বাদল মাঝির মেয়ে তাবাসছুম। ২১ জুন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাবাসছুম নিখোঁজ হয়েছিল।
গত ২৪ জুন তাবাসসুমের লাশ ভেবে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থেকে উদ্ধারকৃত এক অজ্ঞাত কিশোরীর লাশ এনে দাফন করে তার পরিবার।
এদিকে সোমবার সকালে তাবাসছুম তার প্রেমিক (স্বামী) আজিজ মৃধার সঙ্গে বাড়ি ফিরেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মাদবর ও অন্যান্যরা সুকৌশলে ঢাকা থেকে তাদেরকে বাড়ি নিয়ে আসেন। এ সময় তাকে দেখার জন্য হাজার হাজার লোক চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এসে জড়ো হয়।
এখন তার লাশ ভেবে দাফনকৃত অজ্ঞাত ওই কিশোরীর লাশের পরিচয় নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তাবাসুমের মা নিলুফার বেগম হতাশার মুখে বলেন, যে তারিখে তাবাসছুম নিখোঁজ হয়েছিল তার একদিন পরেই আশুলিয়ায় ওই মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। লাশ দেখতেও তাবাসছুমের মতো ছিল। তাই আমরা ভেবে ছিলাম তাবাসছুমকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে ওই লাশ বাড়িতে এনে দাফন করেছি। মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনে কে ঠিক থাকে বলেন?
তাছাড়া তাবাসছুম বেঁচে আছে ওই কথাটাও তখন আমাদেরকে জানানো হয়নি।
তাবাসছুম জানায়, নানা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার প্রেমিক আজিজ মৃধার সঙ্গে সে বান্দরবন ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানকার একটি মসজিদের সামনে তাদের বিয়ে হয়। পরে লাশের ঘটনা জানতে পেরে তারা বান্দরবন থেকে ঢাকা হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, আমরা শুনেছি তাবাসছুমকে পাওয়া গেছে। সে চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদে আছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd