সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০১৮
আজিজুর রহমান :: সিলেট ও এম জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শতভাগ সেবার মান বাড়ায় বর্তমান রোগীর সংখ্যা তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে । ওষুধ সেবা পাওয়া যাচ্ছে ৯০ ভাগ। এই উন্নয়ন যার মাধ্যমে হয়েছে তিনি, হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক। তিনি যোগদানের পর থেকে পাল্টে গেছে হাসপাতালের দৃশ্যপপট। শুধু সেবার মান বৃদ্ধি নয় হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স,কর্মচারীদের মধ্যে সম্মলিত কাজ করার দৃশ্য লক্ষনীয়।
সিলেটবাসী এমনটাই প্রত্যাশা ছিল,যার বিপ্লব ঘটিয়েছে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক ।তার যোগ্য এবং সাহসী কর্মতৎপরতায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
উপকৃত হচ্ছেন রোগী সাধারণ । অফিস সময় পরও পরিচালককে দেখা গেছে হাসপাতালের রোগীদের খোজ খবর নিতে । হাসপাতালে যেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ছিল,সেখানে আজ ফুলের বাগান। হাসপাতালের বাইরে যেমন সুন্দর ভেতরেও ঠিক তেমনি । সবই হয়েছে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক বদৌলতে ।
যদিও জনবল, জেনারেটরসহ কিছু সঙ্কটও রয়েছে হাসপাতালে। কয়েকটি বিভাগ না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও শিক্ষার্থীরা।তারপরও বেড়েছে সেবার মান।হাসপাতালে সরেজমিন ঘুরে দেখতে গিয়ে এই চিত্র উঠে এসেছে।
হাসপাতালে শিশু অর্থোপেডিক বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা.আফসার উদ্দিন জানান,বিগত বছরগুলোর তুলনায় রোগীর সংখ্যা তিন গুন বেড়ে যাওয়ায় আমার্দে প্রায় ৪ টা পর্য়ন্ত রোগী দেখতে হয়। বর্তমান পরিচালক মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সেবার মান বাড়ায় আউটডোরের প্রতিটি বিভাগের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক জানান, হাসপাতালের উন্নয়নে বেশকিছু নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।দীর্ঘদিন রোগীদের ভোগান্তি ছিল বিভাগী শহরের সিলেটের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাসপাতালটিতে।বিশাল পরিসরের হাসপাতালটি এখন রাত-দিন রোগী-দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
তিনি জানান,প্রাইভেট হাসপাতালের ওপর সিলেট বিভাগের মানুষের নির্ভরশীলতা কমেছে। আমি যোগদানের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ৮০ জন আনসার নিয়ে আসি। ফলে আইন শৃৎখলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা জানিয়েছেন, মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ায় তারা হাসপাতালটির ওপর নির্ভর করছেন।
হাসপাতাল সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি বিভাগে চিকিৎসকদের কর্মতৎপরতা। নোংরা, ময়লা-আবর্জনা হাসপাতালের অভ্যন্তরে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যথাযথ ব্যবস্থাপনায় আবর্জনা চলে যাচ্ছে হাসপাতালের বাইরে। হাসপাতাল ক্যাম্পাস থেকে যেমন হকার উচ্ছেদ হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণে আনা হয়েছে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। কিছু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড়া রোগ নির্ণয় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য এখন আর রোগীদের বাইরে পাঠানো হয় না।
হাসপাতালের ভেতরে একসময় দালালদের ঘোরাঘুরি ছিল,এখন আর তা দেখা যায় না।
সিলেটবাসীর দাবি, এভাবে হাসপাতালের কার্য়ক্রম চলতে থাকলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে নব দিগন্তে উম্মচিত হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd