সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের প্রবাসী পরিবরের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশি প্রভাবশালী কুচক্রী মহল। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৮ জুলাই রোববার বেলা ১১টার সময়। প্রবাসী পরিবারের ৩ ছেলে বিদেশে কর্মরত থাকায় বাড়ীতে বৃদ্ধ মা, চাচী, বোন ও স্ত্রী-সন্তানরা থাকেন। বাড়ীতে পুরুষ না থাকার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ী আঙ্গিনা ও পূর্বের ঘর বেআইনী ভাবে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিবেশি কুচক্রী মহলটি।
এ ব্যাপারে প্রবাসীদের মা, মৃত আব্দুন নূর এর স্ত্রী ছুরেতুন নেছা (৬৫) বাদী হয়ে গতকাল ৮ জুলাই রোববার কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত সিকন্দর আলী উরফে বতুর ছেলে আলা উদ্দিন, নূর ইসলাম, নূরুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম, ছায়াদ মিয়া, মৃত আছদ্দর আলী ছেলে নাছির, মৃত উছমান আলীর ছেলে আব্দুল জলিল মকু, আব্দুল ছালাম, আব্দুল কাদির গেদা, আলা উদ্দিনের ছেলে লোকমান এর নাম উল্লেখ করে ৮/১০জনকে অজ্ঞাত রেখে জালালাবাদ থানা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছুরেতুন নেছা কর্মক্ষতাহীন বয়ঃবৃদ্ধা মহিলা। তার ছেলেরা বিদেশে কর্মরত। এই সুবাদে অসৎ প্রকৃতির সমূহ আসামীগণ যারা গ্রাম্য সালিশ, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় বিচার ব্যবস্থা ও মানবিক মূল্যবোধ সহ কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে সর্বদা গায়ের জোরে চলে। এতে স্থানীয় জনগণ ভীত, সন্তস্ত্র ও টতস্থ। তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে বা স্বাক্ষ্য দিতে সাহস করে না। রোববার সকালে সমূহ আসামীগণ বেআইনী ভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে বাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করতঃ বনজ ও ফলজ বৃক্ষাদি কেটে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় বাদীর মৃত দেবরের স্ত্রী সুলেখা বেগম (৬০) বাঁধা নিষেধ করায় বিবাদীগণের হাতে থাকা লোহার রড ও লোহার পাইপ নিয়ে তাড়া করলে সুলেখা বেগম ঘরে লুকানোর চেষ্টা করলে আসামীগণ ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তার বাম পাজরের হাড় ভাঙ্গা জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য লিলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় বিবাদীগণ টানা হেচড়া কের শ্লিলতাহানী ঘটায় এবং সুলেখার গলার স্বর্ণের এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা মূল্যের চেইনটি ছিনিয়ে নেয়। সুলেখার আত্মচিৎকার শোনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আসামীগণ যাওয়ার সময় কর্তনকৃত গাছগুলো নিয়ে যায় এবং কোন প্রকার মামলা মোকাদ্দমা করলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকী দেয়।
উল্লেখ্য ১৯৯৬ইং সনে ১ – ৫নং আসামীর বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালী থানা প্রবাসী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করলে তা বিশেষ ক্ষমতা মামলা নং ৫২/১৯৯৮ রূপান্ত হয়ে বিচারান্তে ১-৩ নং আসামীর প্রত্যেকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ হয়। আদেশের বিরুদ্ধ মহামান্য হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে এসে পূর্বের ন্যায় তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd