সিসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার প্রচারণায় জম-জমাট সিলেট মহানগরী

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৮

সিসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার প্রচারণায় জম-জমাট সিলেট মহানগরী

স্টাপ রিপোর্টার :: সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। এর পরপরই শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।
শুরু হলো যুদ্ধ, প্রচার যুদ্ধ। প্রচার প্রচারণায় জম-জমাট সিলেট মহানগরী। চারদিকে বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসব। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের চতুর্থ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই উৎসব বা যুদ্ধ। প্রতীক বরাদ্দের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রথমেই ছুটে যান হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে। সেখানে তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রথমে জেয়ারত ও মোনাজাত করেন। এরপর দরগাহ এলকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকদের সাথে কুশল বিনিময় ও লিফলেট বিতরণ করেন। কামরান প্রচারণার সময় অতীতের মতো ভবিষ্যতেও নগরীর উন্নয়ন ও নগরবাসীর খেদমতে সবার সহযোগিতা পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। এরপর সদ্য সাবেক মেয়র, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীও দরগাহ প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন। তিনিও মাজার জেয়ারত ও মোনাজাত শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। এসময় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সাথে আলাপকালে আরিফ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ পুনর্ব্যাক্ত করেন। তিনি নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়া বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিমসহ অন্য প্রার্থীরাও প্রচারণা শুরু করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও কয়েক জন কাউন্সিলার প্রার্থীর পক্ষেও মাইকিং করতে শোনা গেছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি পর্ব শেষ হচ্ছে গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকেলেই। গতকাল ৫টার মধ্যেই সবার প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে। এর পরপরই সব কাউন্সিলার প্রার্থী নিজ নিজ ওয়ার্ডে শুরু করবেন প্রচারণা করছেন। এ প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার উৎসব শেষ হবে আগামী ২৮ জুলাই রাত ১২টায়। তবে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা চলবে ৩০ জুলাই নির্বাচন চলাকালেও। সেদিন বিকালেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। জানিয়ে দেওয়া হবে নগরবাসীর রায়।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ১৩ জুন। এরপর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার পর বাছাই শেষ হয় ২ জুলাই। ৯ জুলাই সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন মোট ৭ জন প্রার্থী। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলার পদে লড়ছেন ১ নারীসহ মোট ১২৭ জন। আর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৯টি আসনে লড়ছেন ৬২ জন প্রার্থী। বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই উৎসব। জাতীয় বা স্থানীয়, যেকোন পর্যায়ের নির্বাচনই হোকনা কেন, প্রচার-প্রচারণায় মোটামুটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে আড্ডা। কর্মীরা কাজ-কর্ম শেষে সেখানে বিশ্রাম নেন। বুঝে নেন পরবর্তী করনীয়। পাড়ার ভোটাররা সেখানে বসে জমিয়ে তুলেন চায়ের আড্ডা। চলে সার্বিক পরিস্থিতির বিচার বিশ্লেষণ। তারপর চলবে সভা-সমাবেশ গণসংযোগ। এছাড়া প্রচার-প্রচারণার এই সময়টাতে মাইকে মজার মজার কথা বলে ভোট প্রার্থনাও করা হবে। ভাবি মা খালা বা ভাইবোন সম্বোধনের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনার বিষয়টি অবশ্য শ্রোতারা ভালোই উপভোগ করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..