সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক, সাবেক এমএনএ, জাতীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পরিষদের সদস্য বঙ্গবীর এম.এ.জি ওসমানীর শততম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের দাবীতে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদের কার্যকরী কমিটির উদ্যোগে গতকাল ১১ জুলাই বুধবার বিকেল ৩টায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দ্বীপ কুমার সিংহ।
বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি সৈয়দ আহমদ বহলুল এর নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ.কে.এম শামিউল আলম, বালাগঞ্জ-ওসমানী নগর উপজেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এডভোকেট মনির উদ্দিন, সংসদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জুয়েল আহমদ, প্রবাসী কমিউনটি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর খালিসাদার, গণদাবী ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট চৌধুরী আজাদুর রহমান, ওসমানী জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মনোরঞ্জন তালুকদার, অধ্যাপক ছুরাব আলী, সংসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, এডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান, এডভোকেট এমদাদুল হক, সৈয়দ মোঃ কাওছার আলী, সংবাদিক আখলিছ আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট মামুন শিকদার, সালমান খান, আমিরুল ইসলাম বকুল, মোঃ রিপন জায়গীরদার, মোঃ এরশাদ আলী, আব্দুর রশীদ, দ্বীজেন্দ্র লাল শর্মা, সিলেট বিভাগ গণদাবী পরিষদের সাংগঠনিক রুহুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে কালেক্টর ভবনের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে সৈয়ীদ আহমদ বহলুল বলেন, ১লা সেপ্টেম্বর বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর শততম জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও প্রতিবছর ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের পাশাপাশি বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর জীবনী সম্পর্কে জানতে পারে সেই লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে তার জীবন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি ঢাকাস্থ ওসমানী উদ্যান ও সিলেটের ওসমানী যাদুঘরকে আধুনিকায়নের জোর দাবী জানান।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, এদেশের মানুষের আশা ভরসার প্রতীক, সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং মানবতাবাদী নেত্রী হিসেবে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদের পক্ষে দাবী জানিয়ে বলা হয়, জাতির জনকের ডাকে পাকিস্তানীদের লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, অত্যাচার, নির্যাতন ও বৈষম্যের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে উদ্ধারের লক্ষ্যে যে সাধিকার আন্দোলন সুচিত হয়েছিল তার পরিসমাপ্তি গটে ১৯৭১ সারের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। আর সেই যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর (মুক্তি বাহিনী) সর্বাধিকনায়ক হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধ পারিচালনা করে মাত্র ৯ মাসের রণ নৈপুণ্যতায় ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করি।
১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে আতাউল গণি ওসমানীকে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্ণেল পদ থেকে পদোন্নতী দিয়ে জেনারেল পদে উন্নীত করেন। ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল ওসমানী সর্বাধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেন। একই বছর ১০ এপ্রিল মন্ত্রী সভায় যোগদান করেন। ১৯৭২ সালের ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুল বোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আমৃত্যু সংসদীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও সততা ও জবাবদিহীতা প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন আপোষহীন।
আগামী ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং মহান এই জাতীয় বীরের শততম জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন সহ উপরোক্ত দাবীগুলো বাস্তবায়নের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জোর দাবী জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd