সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের অফিস ও বাসার ঠিকানায় নোটিস দুটি পাঠানো হয়।
দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা-১-এর উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত নোটিস দুটির মধ্যে ডিআইজি মিজানেরটি পুলিশ সদর দপ্তর, উত্তরার বাসভবন ও বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের ঠিকানায় পাঠানো হয়। সোহেলিয়া আনার রত্নার নোটিসটি উত্তরার বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, নোটিস প্রাপ্তির দিন থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নামে-বেনামের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব পেশ করতে হবে। যথাসময়ে হিসাব বিবরণী পেশ করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুদক তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস পাঠানোর অনুমোদন দেয় গত সোমবার। ওই অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নোটিস দুটি পাঠানো হয়। নির্ধারিত সাত কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব পেশ করা সম্ভব না হলে আবেদন করে আরও সাত কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন তারা।
সূত্র জানায়, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজান ও তার স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৩ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন দুদক উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকে পেশ করা অভিযোগে বলা হয়, পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি প্রায় শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
সম্প্রতি অস্ত্রের মুখে মরিয়ম ইকো নামে এক নারীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করা ও নির্যাতনের অভিযোগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিএমপির ডিআইজি পদধারী মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে ন্যস্ত করা হয়।
-তথ্যসূত্র: সমকাল
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd