তখন ঘটনাটি স্থানীয় এলাকার লোকদের মধ্যে জানাজানি হলে গোপনে স্থানীয়রা বিষয়টি আপোষ নিস্পত্বি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এনিয়ে কয়েকদফা শালিস বৈঠক হলেও কোন সূরাহা হয়নি। পরবর্তীতে বিগত বৃহস্পতিবার (২১জুন) সকালে ধলইপাড়া শ্যামপুর (পাঁচপাড়া) মসজিদের সামনে পুণরায় শালিস বৈঠক বসলে মাতব্বরদের সাথে ইমামের কথা কাটাকাটি হয় একপর্যায় ইমামের নেতৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনী হামলা চালায় শালিসিগণের উপরে। এ হামলায় নারীসহ অন্তত বিশ জন লোক আহত হন।
গুরুতর আহতদের মধ্যে জামাল উদ্দিন (২২) বর্তমানেও সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪তলা , ৫নং-ওয়ার্ডের ২০নং-কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । অন্য আহতরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর মডেল থানায় এনিয়ে পাল্টা-পাল্টি দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাতব্বরদের পক্ষে মামলা দায়ের করেছেন একই এলাকার আলকাছ উদ্দিন। যার মামলা নং-৪৭/১৮। এ মামলায় ২৪জনকে আসামি করা হয়েছে। “অন্যদিকে ওই গ্রামের রমজান মিয়া বাদি হয়ে আরো একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ১৩/১৮ । এ কাউন্টার মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩০ জন। তবে লক্ষ্যনীয় বিষয় যে, ৪৭/১৮ নং-মামলাটি এফ আই আর’র চারদিন পর কাউন্টার মামলা এফ আই আর করে পুলিশ। কিন্তু মামলা রুজু করারপর কিছু আসামী আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও অনেক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।”
অথচ পলাতক আসামিরা থানা পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভীর দর্পে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলাফেরা করছে। এবং এ ঘটনার মুল হোতা নারী পিপাষু লম্পট ইমাম আলীম উদ্দিন আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে বাদি আলকাছ মিয়াকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে ও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। বাদি আলকাছ মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজনরা আলীম উদ্দিনের ভয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবণ যাপন করছেন।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়- তালাকপ্রাপ্ত নারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার কারনে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) মসজিদ-মাদ্রাসা কমিঠিসহ স্থানীয়রা তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। সেই শালিসিগণ স্বাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় লম্পট ইমাম আলীম উদ্দিনকে বহিস্কারাদেশ প্রদান করেন।