গোয়াইনঘাটে আবাধে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে? প্রশাসন নির্বিকার

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৮

গোয়াইনঘাটে আবাধে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে? প্রশাসন নির্বিকার

আলী হোসেন, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতিটি খাল,বিল,হাওরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল,পেটফুলা জাল দিয়ে অবাদে দেশীয় মাছ এবং মাছের পোনা ধরা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। হাওর-বাওর নদী বিল বেষ্টিত গোয়াইনঘাট উপজেলায় মৎস্য সম্পদে ভরপুর থাকার কথা থাকলেও মৎস্য আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকার কারনে এ উপজেলায় দেশীও মৎস্য সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলায় প্রতিটি হাওর বিলে নিষিদ্ব কারেন্ট জাল,পেটফুলা জালের ব্যবহারে দেশীয়। বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ পর্যন্ত ধরার কারণে মৎস্য সম্পদের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এ উপজেলার সরকারী জলমহাল গুলোতে প্রতি বছর মৎস্য আইন লঙ্গন করে বিল শুকিয়ে মাছ ধারার কারণে দিনে দিনে দেশীয় মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শুষ্ক মৌওসুমেও যখন সরকারের ইজারাকৃত বিলগুলি মৎস্য আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিটি বিলে সম্পুর্ন পানি শুকিয়ে মাছ ধরা হয়। এমনকি কোন কোন বিল বছরে একাধিকবার ফিশিং করা হয়। তখনই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও চোখ বুঝে থাকেন। প্রতিটি বিল যদি ৩/৫ বছর পর পর ফিশিং করা হত তা হলে দেশীয় মৎস্যের এমন ঘাটতি দেখা দিতনা। মৎস্য সম্পদ রক্ষার দ্বায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের কার্যক্রম শুধু কোন সপ্তাহ বা পক্ষ পালনে সীমাবব্ধ না রেখে সারা বছরই সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল। বিল ফিশিং’র ব্যাপারে মৎস্য আইনের বাস্থবায়নে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন। দেশীয় মৎস্য রক্ষায় কারেন্ট জাল,পেটফুলা জাল বিক্রি,ব্যাবহার বন্ধে উদ্দ্যেগও নিতে হবে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্বির প্রয়োজনও রয়েছে। উপজেলার অনেক খাল-বিল,হাওর ভারাট হয়ে যাওয়ার কারনে মৎস্য সম্পদ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে জরুরী উদ্দ্যেগ গ্রহন করা একান্ত প্রয়াজন। হাওর বেষ্টিত এ উপজেলায় আধুনিক মৎস্য চাছে মৎস্য অধিদপ্তর ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহন করে মাছের খামার ও মাছ চাষে ভুমিকা রাখলেও দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় রয়েছে উদাসিন। গোয়াইনঘাটে মৎস্য সম্পদ বৃদ্বি ও রক্ষা বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান,বিল পুরোটাই শুকিয়ে ফিশিং করার বিষয়ে আমাদের নিকট কোন অভিযোগ আসলে ইজারার চুক্তি মোতাবেক তার ইজারা বাতিল করে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার এবং বিক্রি বিষয়ে প্রসাশনিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ অহেদুজ্জামান জানান, ইতিপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জাল আটক করে পুড়ানো হয়েছে। অপরদিকে মৎস্য আইন লংঘনকারীদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রসাশন সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে।

দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্বিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী উদ্দ্যেগ গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..