প্রচন্ড রৌদের মধ্যে তাহিরপুর বাদাঘাট পাবলিক বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেনীর ছাত্রীদের দিয়ে ফুটবল খেলা

প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০১৮

প্রচন্ড রৌদের মধ্যে তাহিরপুর বাদাঘাট পাবলিক বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেনীর ছাত্রীদের দিয়ে ফুটবল খেলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: গত বুধবার (১৮জুলাই) বেলা ১২টায় প্রচন্ড রৌদের মধ্যে সরকারী কোন প্রোগ্রাম নেই অথছ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬-৭শ্রেনীর ছাত্রীদের দিয়ে তাহিরপুর উপজেলার এপি,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর সার্বিক সহযোগিতায় বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রচন্ড রৌদের মধ্যে কতৃপক্ষ ফুটবল খেলার আযোজন করে। কি ভাবে এত রৌদের মধ্যে ফুটবল খেলা আয়োজন করলেন আর বিদ্যালয় কতৃপক্ষই বা কি ভাবে তাতে সম্মতি দিলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না সচেতন এলাকাবাসী। কারন গত ক-দিন ধরেই তাপমাত্র প্রায় ৩৬ডিগ্রী ছিল। প্রচন্ড গরমে মানুষ বাড়ির ভিতরে ফ্যানের নিচে ও গাছের ছায়ায় থেকেও জীবন যায যায় অবস্থা। অথছ এই প্রচন্ড রৌদে ফুটবল খেলতে গিয়ে দূর্ঘটনাও ঘটতে পারত। তখন কি করতেন এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন আর বিদ্যালয় কতৃপক্ষ এমন প্রশ্ন উঠেছে। আর প্রচন্ড রৌদে ফুটবল খেলা আয়োজন না করে পরন্ত বিকালে আয়োজন না করায় অভিবাবক ও জনমনে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। এই খেলা ও খেলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন বিদ্যালয় শিক্ষকগন ও এলাকার যুবকরা। স্কুলের এই আয়োজনে কোন অভিবাবক,নির্বাচিত অভিবাবক সদস্যগনকেও যেমন আমন্ত্রন করা হয় নি। তেমনি জানানোর প্রয়োজনও মনে করেন নি কেউ। আর আয়োজন হয়েছে ঠিকেই বিদ্যালয়ে। এই এনজিও সংস্থার অনুষ্টানেই আবার প্রধান অতিথি করা হয়েছিল জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব জাহাঙ্গীর আলম,বিশেষ অতিথি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দানু,সহকারী শিক্ষক মুস্তাকিম আলী পীর,আব্দুর রাজ্জাক,মোরশেদ আলমসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও সকহারীগন। খেলা লাল দল হলুদ দলকে ২-০গোলে পরাজিত করে বিজয়ী লাল দল। পরে খেলা শেষে প্রধান অতিথি জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব জাহাঙ্গীর আলম বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এই বিষয়ে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিবাবক সদস্য আমির শাহ জানান,এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ফেইসবুকে শুনেছি। এবিষয়ে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ধানু জানান,ওয়ার্ল্ড ভিশনের একটি প্রোগ্রামে আমার স্কুলের ৬-৭শ্রেনীর ছাত্রীদের নিয়ে একটি অনুষ্টানের পাশা পাশি ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিল। রৌদ বেশী থাকায় কম সময়েই শেষ করেছি। অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তাহিরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান অথছ এই বিষয়ে তিনি জানান,আমি প্রথমে ওয়ার্ল্ড ভিশনের এই অনুষ্টানে ছিলাম না পরে যুক্ত হয়েছি। আমি আমার অন্য কাজে গিয়েছিলাম।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..