টাঙ্গাইল থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রী সুনামগঞ্জে উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৮

টাঙ্গাইল থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রী সুনামগঞ্জে উদ্ধার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: টাঙ্গাইলের মীর্জাপুর থেকে অপহৃত ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা পুলিশ উদ্ধার করেছে।’ উদ্ধারের পর সোমবার রাতেই ওই কিশোরীকে ধর্মপাশা থানা পুলিশের হেফাজত থেকে মীর্জাপুর থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে ফিরে গেছেন।’

রবিবার মধ্যরাতে ধর্মপাশা থানা পুলিশ দুধবহর গ্রাম থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।’

পুলিশ ও ভিকটিমের পারীবারিক সুত্র জানায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার দুধবহর গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মোজাহিদ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল এলাকায় চাকুরি করার সুবাধে সেখানকার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে বৃহস্পতিবার ধর্মপাশার নিজের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে।’

এদিকে কিশোরীর কিশোরীর বাবা পরিবারের লোকজন রবিবার বিকেলে মোজাহিদের বাড়িতে এসে কিশোরীর সন্ধান পেয়ে একটি এনজিও সংস্থার সহায়তায়তায় ধর্মপাশা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশকে জানানোর বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ মোজাহিদের বাড়িতে পৌছার পুর্বেই সে পালিয়ে যায় ও পরিবারের লোকজন কিশোরীকে বাড়ি থেকে সড়িয়ে গ্রামের অন্য একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে পুলিশ কিশোরীকে রবিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।’

ধর্মপাশার দুধবহর গ্রামের মঞ্জুরুল হক জানান, আমার ছেলে মোজাহিদ ওই কিশোরীকে অপহরণ করেনি, বরং ওই কিশোরী আমার ছেলের সাথে মনদেয়া নেয়ার পর বিয়ের কাজ শেষ করে মীর্জাপুর থেকে পালিয়ে এসেছিলো স্বেচ্ছায়। একজন অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরীর সাথে বিয়ে হল কেমন করে? বিয়ে হলে কাবিনের কাগজপত্র দেখানোর কথা বললেও তিনি কোন সদুওর দিতে পারেননি এমনকি কাবিনের কোন ডকুমেন্টও দেখাতে পারেনি।’

মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক মঙ্গলবার জানান, ‘ওই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে। কিশোরীকে ধর্মপাশা থানায় পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে মীর্জাপুর থানায় আনা হয়েছে।’

ধর্মপাশা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান মঙ্গলবার জানান, যেহেতু কিশোরী অপহরণের মামলা মীর্জাপুর থানায় পুর্বেই করা হয়েছে সেক্ষেত্রে ওই থানাই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..