অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বর্নি ইউপির ফকিরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৫) একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ফাহিম আহমদ (১৯) গত ২ বছর ধরে উত্যক্ত করছে। সে বর্নি সৎপুর গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে সহযোগীদের নিয়ে ফাহিম কয়েকবার এ ছাত্রীটির শ্লীলতাহানী করে। এ কারণে বড়ভাই আজাদ আহমদ প্রতিদিন বোনকে স্কুলে নিয়ে যান এবং ছুটির পর সাথে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। গত ১৪ জুলাই বোনকে স্কুলে দিয়ে ফেরার সময় বখাটে ফাহিম স্কুল গেটেই আজাদ আহমদকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় ছাত্রীটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট বিচারপ্রার্থী হলে এ বখাটে ছাত্রের বিচার করতে তিনি ব্যর্থ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার অনুরোধ করেন। পরে ছাত্রীটির নানা আরব আলী ইউএনও’র পরামর্শে বখাটে ফাহিম আহমদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আ’লীগ নেতা জুবের আহমদ জানান, ঘটনা নিষ্পত্তি করে দেয়ার জন্য থানা থেকে শুধু তিনি একা সময় নেননি। প্রফেসার একেএম হেলাল উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন ছিলেন। তবে বাদীর সাথে কেউ যে যোগাযোগ করেনি তা সত্য। সকলের সাথে যোগাযোগ করে এখন উদ্যোগ নিচ্ছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাময় ভট্টাচার্য্য জানান, ফাহিম আহমদ খুবই বখে যাওয়া ছাত্র। ইতিপুর্বে অনেক অপকর্ম করেছে। অভিভাবকদের জানিয়েও প্রতিকার মিলেনি। আমি ছাড়াও ম্যানেজিং কমিটি তার বিচার করেছেন। এরপরও সে নিবৃত্ত হয়নি। তাই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।ছাত্রীটির নানা আবর আলী জানান, আপোস মীমাংসার জন্য সোমবার বিকেল পর্যন্ত কেউ তার সাথে যোযাযোগ করেনি। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আরো বড় কোন ক্ষতির আশংকায় গত ৭ দিন ধরে নাতনী (স্কুলছাত্রী) স্কুলে যাচ্ছে না। স্থানীয় ২ আ’লীগ নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ না করে তারা থানা থেকে সময় নিয়ে বখাটে ফাহিমকে আত্মগোপন করতে সহায়তা করেছেন।ইউএনও মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ জানান, ছাত্রীটির নানা আরব আলী ইটিজিং ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসলে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেন। এরপর আর কেউ কোনকিছু জানায়নি। ছাত্রীটি যে ৭ দিন ধরে স্কুলে যাচ্ছে না এটি খুবই দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, ‘লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির পর পুলিশ সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। কিন্তু এরপরই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক স্থানীয়ভাবে ভিকটিমের পরিবারের সাথে বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির জন্য সময় চেয়ে নেন। তবে বিষয়টি সমাধান না হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।